মোহনা বিশ্বাস, ওয়েব ডেস্কঃ
ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। ফের দু’দেশের মধ্যে বাড়ছে উত্তাপ। এহেন পরিস্থিতিতে দেশের প্রতিরক্ষা নিয়ে মঙ্গলবার একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সূত্রের খবর, ৩ বাহিনীর সেনাপ্রধান অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ডাকা ওই বৈঠকে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং দ্য চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বা প্রতিরক্ষা কর্তা বা প্রতিরক্ষা কর্তা জেনারেল বিপিন রাওয়াত। এর আগে বিদেশ সচিবের সঙ্গেও এবিষয়ে এক পৃথক বৈঠক হয়।
প্রধানমন্ত্রীর আগেই কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ৩ সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নিরাপত্তা সংক্রান্ত আলোচনা করেন বলে জানা গেছে। সিকিম ও লাদাখ সীমান্তে হঠাৎই চিন এবং ভারতীয় সেনার মধ্যে উত্তেজনামূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে যে, বেজিং লাদাখের কাছে তাদের বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজ চালাচ্ছে। পাশাপাশি বেশ কিছু চিত্রে দেখা গেছে যে, কয়েকটি যুদ্ধবিমানও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যগুলিকে করোনা পরীক্ষার খরচ কমাতে নির্দেশ কেন্দ্রের
প্রসঙ্গত, ৯মে একটি ভারতীয় টহলদারী দলের কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ জন কর্মীর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে চিনা সেনারা। ভারতের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, ভারত-চিন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে প্রবেশের চেষ্টা করে চিনের সেনাবাহিনী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে তখনই জানানো হয় যে মোটরচালিত নৌকাগুলির সাহায্যে পানগং হ্রদে ঘোরাফেরা করছে তাঁরা।
এরপর সোমবার, চিনা দূতাবাসের ওয়েবসাইটে একটি নোটিস দিয়ে জানানো হয়েছে যে, চিনের যেসব নাগরিকরা দেশে ফিরে যেতে চায় তাদের ফেরাতে প্রস্তুত তাঁরা। যাঁরা দেশে ফিরতে চান তাঁরা যেন নিজের ব্যয়ে বিমানের টিকিট কেটে ফেলেন। এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে চিনের সঙ্গে এই সীমান্ত বিরোধ, সে লাদাখ নিয়েই হোক, বা সিকিম অথবা দক্ষিণ চিন সাগর নিয়েই হোক, সবই দক্ষিণ এশিয়ার কাছে “হুমকির নামান্তর”।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584