ব্রিগেড থেকে ‘আসল’ পরিবর্তনের ডাক মোদীর

0
68

উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ

রবিবারের বিজেপির ব্রিগেডে প্রধানবক্তা ছিলেন মোদী। আর এদিন শুরু থেকেই তিনি আক্রমণ করেন তৃণমূলকে।

PM Narendra Modi | newsfront.co
ছবিঃ এএনআই

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলা কী হারিয়েছে, তা আপনারা আমার চেয়ে ভালো করে জানেন। যা বাংলা থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে, সেগুলি ফিরিয়ে আনব। ভারত স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছরে প্রবেশ করছে, বাংলা এক নতুন উদ্যম ও সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের মতোই বাংলার উন্নতিতে আগামী পঁচিশ বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পঁচিশ বছরের সূচনার প্রথম ধাপ এই বিধানসভার নির্বাচন। পঁচিশ বছরের উন্নতির ভিত্তি হতে চলেছে নির্বাচন।

BJP Brigade | newsfront.co
ছবিঃ এএনআই

শুধু বাংলায় সরকারের বদলের জন্য নয়, বাংলাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ভোট দেবেন। ২০৪৭ সালে দেশ স্বাধীনতার একশো বছর উদযাপন করবে, সেদিন দেশকে আবার নেতৃত্ব দেবে বাংলা। টি থেকে ট্যুরিজম, পশ্চিমবঙ্গের মাটি ও সমুদ্রতে সব কিছু আছে। স্বচ্ছ মনে এগিয়ে যাওয়ার দরকার।

কলকাতা সিটি অব জয়, কলকাতার অতীত ঐতিহ্যও রয়েছে। সম্ভাবনাও রয়েছে। কলকাতার সংস্কৃতিকে সুরক্ষিত রেখে সিটি অব ফিউচার তৈরি করার মতো সুযোগ রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা, প্রযুক্তির বিস্তার, স্টার্টআপের পরিবেশ, সম্পূর্ণ দায়বদ্ধতার সঙ্গে কাজ করব। কলকাতা মেট্রোর সম্প্রসারণ আরও দ্রুততার সঙ্গে হচ্ছে। কলকাতায় উন্নয়নের ডবল ইঞ্জিন চালু হলেই সব বাধা কেটে যাবে।”

আরও পড়ুনঃ বিজেপির সভার আগে রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদের সুর চড়ালেন মমতা

এদিন কাটমানি ও তোলাবাজি নিয়ে সরব হন প্রধানমন্ত্রী। দেন একাধিক প্রতিশ্রুতিও। তিনি বলেন, “প্রতিটা ধাপে বাধার সম্মুখীন হই। এদের তোলাবাজি জন্য কলকাতা বিমানবন্দর সংক্রান্ত সব কাজ আটকে রয়েছে। এমন আটকে থাকা কাজগুলিকে দ্রুতগামী করা যাবে। স্মার্টসিটি প্রকল্পগুলি নতুন গতি পাবে। শহরে নতুন ফ্লাইওভার তৈরি হবে। অসম্পূর্ণ ফ্লাইওভার সময়ে শেষ হবে। বস্তিবাসীদের পাকা ঘর দেওয়া হবে। ঠেলাচালকদের দেওয়া হবে স্বনির্ভর নিধি। কলকাতার সঙ্গে বাংলার অন্যান্য শহরে আত্মনির্ভর ভারতকে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি রয়েছে। শহরের পরিকাঠামোগুলিকে আধুনিক করা হবে। যাতে শিক্ষা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ ও বন্দরে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। তাতে উৎসাহ দেওয়া হবে। কৃষক ও মৎস্যজীবীরা লাভবান হবে।”

আরও পড়ুনঃ দ্বিচারিতা! উপনির্বাচনে জিতলে সুলভ হবে হালাল গো-মাংস প্রতিশ্রুতি বিজেপি প্রার্থীর

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সরকারি ব্যবস্থা, পুলিশ ও প্রশাসনের উপরে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ফিরে আসবে, এমনই পরিবর্তন হবে। নিয়োগের ক্ষেত্রেও স্বচ্ছ ব্যবস্থা। স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প লাগু।”

এদিন বাংলা ভাষায় শিক্ষায় উন্নয়ন ঘটানোর ডাক দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি ও প্রযুক্তির পড়াশুনো বাংলা ভাষায় যাতে হয়, তার জন্য জোর দেওয়া হবে। ইংরেজি জানে না, তাই গরিবের ছেলেমেয়ে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন থেকে দূরে থাকতে পারবে না। গরিবের মেয়ে ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ারিং হতে পারে, সেই ব্যবস্থা আনব। শুধু ক্ষমতা পরিবর্তনই আমাদের উদ্দেশ্য নয়। বাংলার রাজনীতির অভিমুখ করব উন্নয়নমুখী। বাংলাকে ধ্বংস করার সুযোগ কাউকে দেব না। তাই আসল পরিবর্তনের কথা বলছি। আসল পরিবর্তনের মহাযজ্ঞে বাংলার মানুষদের এটা মাথায় রাখতে হবে, তাঁদের সঙ্গে বহুবার ছল করা হয়েছে। সঙ্গীরা আজাদির স্লোগান দিয়ে কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছিল। স্বাধীনতার পর কাজ হয়েছিল। তারপর বাংলায় ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি জাঁকিয়ে বসল।”

আরও পড়ুনঃ মোদীর ব্রিগেডে মহাগুরু

পাশাপাশি বাম – কংগ্রেস জোটকেও কটাক্ষ করেন মোদী। বলেন, “বামপন্থীরা এগিয়ে নিয়ে গেল। বামপন্থীরা স্লোগান দিয়েছিল, কংগ্রেসের কালো হাত, ভেঙে গুঁড়িয়ে দাও। এমন স্লোগান দিয়ে বামপন্থীরা ক্ষমতায় এসেছিল। তিন দশক শাসনে ছিল। আমি প্রশ্ন করছি, আজ ওই কালো হাতের কী হল? এই কালো হাত সাদা হল কীভাবে? যে কালো ভাবতেন, তা আজ সাদা কীভাবে হল! যে হাত ভাঙার কথা বলত, সেই হাতের আশীর্বাদ নিচ্ছে এখন।”

বামপন্থীদের বিরুদ্ধে মমতা’দিদি পরিবর্তনের স্লোগান দিয়েছিল। আপনারা বলুন, গত দশ বছরে সাধারণ বাঙালি পরিবারের জীবনে পরিবর্তন এসেছে? যে পরিবর্তন চেয়েছিলেন বাংলার জনতা। এসেছে সেই পরিবর্তন? কৃষক, শ্রমিক ও কর্মচারীদের জীবনে এসেছে সেই পরিবর্তন? গরিবের জীবনে পরিবর্তন এসেছে? গরিব আরও গরিব হয়েছে, বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here