পুলিশ-পুরসভা যৌথ উদ্যোগে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ বানিয়ে জারি লকডাউন

0
43

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

কনটেনমেন্ট জোন ভিত্তিক লকডাউন সফল করতে এবার যৌথ ভাবে পথে নামল পুরসভা এবং কলকাতা পুলিশ। উল্টোডাঙ্গার করবাগান, তেলেঙ্গা বাগান, কাঁকুড়গাছি, বাগমারি রোড, ফুল বাগান, বিধান নগরের সল্টলেক সহ দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরের চক্রবেড়িয়া মত কনটেনমেন্ট এলাকায় এদিন বিশেষ ভাবে সক্রিয় হতে দেখা গেল স্থানীয় পুলিশ-পুরসভাকে।

kolkata lockdown | newsfront.co
ফাইল চিত্র

সকাল থেকেই কনটেনমেন্ট জোনে বাড়ি গুলিকে চিহ্নিত করে পুরসভা ও স্থানীয় পুলিশ যৌথ উদ্যোগে এলাকা সিল করে দেয়। পাশাপাশি ওই এলাকার সংলগ্ন সমস্ত দোকানপাট ও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ব্যারিকেডের বাইরে রাখা হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের কড়া পাহারা, যাতে কনটেইনমেন্ট এলাকার মানুষ বাইরে বেরিয়ে অন্যান্য মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করতে না পারে।

এর আগে বহুবার সাধারণ মানুষের অভিযোগ পেয়েছে কলকাতা পুরসভা। সংক্রমিত ব্যক্তি অবাধে জনসংযোগে আসছেন। সেই কারণে এবারের নেওয়া হল বিশেষ ব্যবস্থা প্রয়োজনে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন কনটেনমেন্ট এলাকার মানুষদের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করবে।

আরও পড়ুনঃ রাজনৈতিক সুবিধা পেতেই লকডাউন, কন্টেইনমেন্ট জোনের বদল দাবী দিলীপের

এছাড়াও কনটেনমেন্ট এলাকার মানুষদের সব টেস্টের ব্যবস্থা করেছে পুরসভা। অ্যাম্বুলেন্স এর গাড়ি গিয়ে বাড়ি বাড়ি লিস্ট দেখে কন্টেইনমেনট এলাকার মানুষের লালা রস পরীক্ষা করছে।

তবে এর জন্য শহরের রাস্তায় যান চলাচল ব্যাহত হবে না। কারণ কনটেনমেন্ট এলাকাগুলি বড় রাস্তার থেকে অনেকটাই দূরে। তবে বিধাননগরের ক্ষেত্রে যান চলাচল রেস্ট্রিক্টেড করা হবে বলে জানিয়েছেন বিধান নগর কমিশনারেটের জয়েন্ট সিপি রনেন্দ্র নাথ বন্দোপাধ্যায়। তিনি বলেন বিধাননগর কমিশনারেট এর থানা অনুযায়ী ১১ টি কনটেন্টমেন্ট এলাকা আছে।

আরও পড়ুনঃ দক্ষিণ দিনাজপুরে ঘোষিত হল ৪৭ টি কনটেনমেন্ট জোন

পাশাপাশি কনটেনমেন্ট জোনের বাসিন্দাদের খোঁজ নিতে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ চক্রবেড়িয়ায় চালু করলেন স্থানীয় পুরো কোয়ার্ডিনেটর অসীম বসু। এখানে এলাকার বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ।

এখানে পাঁচটি এলাকাকে সংক্রমিত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিটি কমপ্লেক্সের জন্য তৈরি হয়েছে এক একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ। এই গ্রুপে রয়েছেন কলকাতা পুরসভার ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর অসীম বসু, ভবানীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি, এবং সংশ্লিষ্ট বাড়ির নিবাসীরা।

যেহেতু চক্রবেড়িয়ার ওই ৭০ নম্বর ওয়ার্ড সংক্রমিত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে তাই ওই এলাকার সংশ্লিষ্ট বাড়ি গুলি থেকে যেমন কেউ বাইরে বেরোতে পারবেন না ঠিক তেমনই ওই এলাকায় কেউ বাইরে থেকে প্রবেশও করতে পারবেন না। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় মানুষদের কাছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দিতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে।

আরও পড়ুনঃ এবার কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায় করোনা হানা, আক্রান্ত ওসি সহ ৫ জন পুলিশকর্মী

এই প্রসঙ্গে এলাকার বিদায়ী কাউন্সিলর অসীমবাবু জানান, “যেহেতু এই পাঁচটি এলাকায় লক ডাউন করা হচ্ছে তাই আমরা প্রতিটি বাড়ির জন্য আলাদা করে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ খুলেছি। এখানে বাসিন্দারা সকাল বেলা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিজেদের প্রয়োজন জানিয়ে দেবেন। সেই মতো আমরা তাঁদের জিনিস পৌঁছে দেব।”

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here