শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
করোনা সংক্রমণ রুখতে প্রশাসন লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে দিলেও কথা শুনছেন না অনেকেই। বিভিন্ন বাহানায়, অছিলায় সংক্রমণের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন সাধারণ মানুষের একাংশ। এমনই ভাবে লকডাউনের নিয়ম ভেঙে ১১ এপ্রিল পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন এক যুবক। তাকে দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরতে নজিরবিহীন শাস্তির নিদান দিয়েছে আলিপুর আদালত।
কিছুদিন আগে ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গকারীকের নিজেদের সঙ্গে ডিউটি করে মানুষকে ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গ করলে কি পরিণাম হতে পারে, তা বোঝানোর দায়িত্ব শাস্তি হিসেবে দিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। এবার সেই একই রকম ভাবে লকডাউন ভঙ্গকারী ওই যুবককেও একই রকম শাস্তি দিল আদালত।
আরও পড়ুনঃ ট্রান্সজেন্ডার ডে-তে দুঃস্থ রূপান্তরকামীদের সাহায্যার্থে এগিয়ে এল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বন্ধু এক আশা
আর সেই শাস্তি মেনে নিয়ে এখন লকডাউনের সময়ে ট্রাফিক পুলিশকে সাহায্য করছেন ওই যুবক। দিনভর লকডাউন ভঙ্গকারীদের বোঝাচ্ছেন, লকডাউনে নিয়ম ভাঙলে কি হতে পারে? এতে মানুষের বিপদ কতটা? কেন জরুরি লকডাউন পালন করা?
জানা গিয়েছে, কড়েয়া থানা এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক ১১ এপ্রিল তিনি ওই এলাকা থেকে আসছিলেন। চারু মার্কেট থানার পুলিশ তাকে আটকায়। সেই সময় প্রথমে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে। পরে সে পালাবার জন্য পুলিশ কর্মীদের মারধর করে বলে অভিযোগ। সেই অপরাধে তাকে গ্রেফতার করে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক তাকে জেল হেফাজত বা জরিমানার নিদান না দিয়ে এমনই শাস্তি দেন।
তবে প্রথমে ক্ষিপ্ত হলেও এখন ওই যুবক বুঝতে পেরেছেন যে, তিনি ভুলই করেছেন। তার জন্য তিনি যথেষ্ট অনুতপ্ত। তাই সেই শাস্তি মেনে নিয়ে গত ৭ দিন ধরে টালিগঞ্জ এলাকায় কলকাতার ট্রাফিক পুলিশকে সাহায্য করছেন ওই যুবক। সকলকে বোঝাতে গিয়ে নিজের শাস্তির কথাও তুলে ধরছেন।
আর বলছেন, যদি আমাদের নিজেদের বাঁচতে হয়, তাহলে লকডাউনে অবশ্যই ঘরে থাকুন। অপ্রয়োজনে বাইরে বেরোবেন না। অপরাধীর অনুশোচনাই তার সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সংশোধন এবং বুঝতে পারলে সে অন্যদেরও সেই অপরাধ থেকে বিরত করে, যা সংশোধনের আসল উদ্দেশ্য। জেলবন্দি করলে এই উদ্দেশ্য সফল হত না, এমনটাই মত পুলিশের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584