শুভশ্রী মৈত্র, ওয়েব ডেস্কঃ
অসমের দরং জেলার ঢলপুরের গরুখুঁটি অঞ্চলে পুলিশের গুলিতে মৃতপ্রায় এক ব্যক্তির মাটিতে পড়ে থাকা দেহে চড়, লাথি, ঘুষি চালাচ্ছেন কাঁধে ক্যামেরা ঝোলানো এক ব্যক্তি, এই ভিডিও ভাইরাল ইন্টারনেটে। শুধু তাই নয়, মৃতপ্রায় ওই ব্যক্তির দেহে লাঠি চালাতে দেখা যায় অসম পুলিশের কর্মীদেরও। চরম অমানবিক এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর বাধ্য হয়ে পুলিশ গ্রেপ্তার করে ওই ব্যক্তিকে জানা যায় তিনি একজন চিত্র সাংবাদিক, নাম বিজয় শঙ্কর বনিয়া।
জানা গিয়েছে, ওই অঞ্চলে জেলা শাসকের মধ্যস্থতায় ইতিমধ্যেই উচ্ছেদ অভিযান চলছিল। হঠাতই পুলিশ সকাল বেলা নোটিশ দেয় রাতের মধ্যে এলাকা খালি করার। স্থানীয় মানুষ জানান, এই অঞ্চলটি মূলত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। তাঁরা আরও জানিয়েছেন যে পুলিশ কয়েকটি বাড়ি ভাংচুর করার পরেই স্থানীয় মানুষ প্রতিরোধ করেন ও তখনই পুলিশ এলোপাথাড়ি লাঠি ও গুলি চালাতে শুরু করে।
অন্যদিকে প্রশাসনের দাবি, ওই অঞ্চলের জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ করতে গেলে, তাঁরা পুলিশকে বাধা দেয় এবং পুলিশ প্রথমে এলোপাথাড়ি লাঠিচার্জ করে তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে গুলি চালায় পুলিশ। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় দুজন প্রাণ হারান ও আহত হয়েছেন বহু মানুষ।
আরও পড়ুনঃ পিএম-কেয়ার্স ফান্ড সরকারি নয়, আদালতে হলফনামা দিয়ে জানাল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর
উল্লেখ্য, বিজয় শঙ্কর বনিয়া নামের এই চিত্র সাংবাদিককে উচ্ছেদ অভিযানের ভিডিওগ্রাফি করার জন্য পুলিশই ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়েছিল। প্রশ্ন উঠছে পুলিশের সামনেই এই চরম অমানবিক ঘটনা ঘটলো কিভাবে! এই ঘটনায় বিরোধীরা অসম সরকারের ও অসম পুলিশের তীব্র সমালোচনাইয় সরব হয়েছেন। তাঁরা দাবি তুলেছেন, যে পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে অভিযান চলাকালে পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বরখাস্ত করতে হবে তাঁকে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বাধীন সরকার পুলিশের ভূমিকার নিন্দা করেনি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584