নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসে প্রধান অভিযুক্ত প্রাক্তন ডিআইজি ও বিজেপি নেতা। ধৃত আরও সাত। অসম পুলিশের চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের তদন্তে নেমে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে মোট ২০ জনকে। ডিজিপি ভাস্কর জ্যোতি মোহন্ত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য জানান।
তিনি আরও বলেন, এই চক্রের প্রধান এক প্রাক্তন ডিআইজি ও এক বিজেপি নেতা; তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এই দুর্নীতিতে যুক্ত যে কোন ব্যক্তি যত ক্ষমতাবানই হন না কেন একজনকেও ছাড়া হবে না, সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন ডিজিপি মহন্ত।
মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনওয়াল ও স্টেট লেভেল পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড ভেঙে দিয়ে নতুন বোর্ড গঠন করেছেন। বোর্ডের নব নিযুক্ত চেয়ারম্যান হলেন ডিজিপি ভাস্কর জ্যোতি মহন্ত। ২০ সেপ্টেম্বরের লিখিত পরীক্ষা বাতিল করে, ওই পরীক্ষা ২০ নভেম্বর নতুন করে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ হাথরাসের পথে রাহুলকে গ্রেফতার ! লাঠি চার্জের অভিযোগ
প্রাক্তন ডিআইজি পি কে দত্ত ও বিজেপি নেতা দিবন ডেকার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ডিজিপি মোহন্ত জানিয়েছেন, এই দুই প্রভাবশালী ব্যক্তি সম্পর্কে তথ্য দিতে পারলে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণার কথা ভাবছেন তাঁরা।
ডিজিপি মহন্তর প্রেস কনফারেন্স উপস্থিত ছিলেন সিআইডি, গুয়াহাটি পুলিশ এবং আসাম পুলিশের আধিকারিকরা। সিআইডি আধিকারিকরা জানান, তাঁরা ৪ জনকে গ্রেফতার করেছেন, নলবাড়ি জেলা পুলিশ ৭ জনকে আটক করেছে এই কেসে।
আরও পড়ুনঃ আজ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভেহিকলস রেজিস্ট্রেশন কার্ড সঙ্গে না রাখলেও চলবে
ডিজিপি(আইন শৃঙ্খলা) জ্ঞানেন্দ্র প্রতাপ সিং জানিয়েছেন, প্রাক্তন ডিআইজি পি কে দত্তের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে এবং আয়কর দপ্তর তার আয়ের সঙ্গে সংগতি বিহীন বিপুল সম্পত্তির কারণে আলাদা মামলা শুরু করেছে। পি কে দত্তের বাড়ি সার্চ করে কয়েক’শ কোটি টাকার হদিস পেয়েছে পুলিশ।
এছাড়া তার চারটি বিলাসবহুল হোটেল রয়েছে গুয়াহাটিতে। ১৬০০ বিঘা জমি রয়েছে কাছাড় জেলায়। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ১.৫২২ কেজি সোনা ও লাইসেন্স এক্সপায়ার হয়ে যাওয়া একটি পিস্তল। এই তদন্তের যা গতি প্রকৃতি তাতে প্রবল চাপে বিজেপি। রাজ্য পুলিশ কর্তারা খুঁজে পেয়েছেন অত্যন্ত স্পষ্ট ও দৃঢ় বিজেপি যোগাযোগ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584