উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ

বুধবার ছাত্র পরিষদের বিধানসভা চলো কর্মসূচিতে ব্যাপক লাঠি চালাল পুলিশ। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে এদিন বিধানসভা চলো আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল রাজ্য ছাত্র পরিষদ। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে ছাত্র পরিষদের একটি বড়সড় মিছিল যাওয়ার কথা ছিল বিধানসভা অভিমুখে। কিন্তু তার আগেই এই মিছিল আটকায় পুলিশ। এরপর ছাত্র পরিষদের কর্মীদের ওপর নির্মম ভাবে লাঠি চালানো হয় বলে অভিযোগ। ছাত্র পরিষদের সভাপতি সৌরভ প্রসাদকে পুলিশ বেধড়ক মারে বলে অভিযোগ।

সৌরভ প্রসাদ মাথায় আঘাত পেয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। এরপর পুলিশ তাঁর মাথায় জল দিয়ে লালবাজারে নিয়ে যায়। সেখানে তিনি ফের জ্ঞান হারিয়ে ফেললে পুলিশ তাঁকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয় বলে কংগ্রেস সূত্রে জানা গেছে। ছাত্র পরিষদের এক সদস্য শ্যামাপ্রসাদ কার্জি বলেন,’আমরা যখন মিছিল শুরু করি, প্রথম ব্যারিকেড ভাঙার পর দ্বিতীয় ব্যারিকেডের দিকে এগোতেই ঝাকে ঝাকে পুলিশ ছুটে এসে লাঠি চালাতে শুরু করে। সৌরভের মাথায় আঘাত লাগাতে সে মাটিতে পড়ে যায়।

পরে পুলিশ লালবাজার থেকে সৌরভকে হাসপাতালে ভর্তি করে। জানি না সৌরভদা এখন কেমন আছে? সৌরভ ছাড়াও আমাদের কর্মী জুনেত ও নিজামুদ্দিন জখম হয়েছে। এখনও আমাদের ছিয়াত্তর জনকে হোস্টিং থানায় ধরে এনেছে। এছাড়াও লালবাজার ও বৌবাজার থানায় অনেক ছাত্র পরিষদের কর্মীকে গ্রেফতার করে আনা হয়েছে। পুলিশের বাস ছিল না। রাস্তা থেকে যাত্রী নামিয়ে আমাদের মারধর করে তোলা হয়েছে। আজ আমাদের মিছিলে ছিলেন, এনএসইউআই এর সর্বভারতীয় সভাপতি শ্রী নীরজ কুন্দন’জী , সম্পাদক শ্রী রোশান লাল। তাঁদেরও পুলিশ মারধর করেছে। এখনও জানি না সৌরভদা কেমন আছেন!’
আরও পড়ুনঃ বালুরঘাট পুরসভার বালতি বিলি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ বিজেপির
ছাত্র পরিষদের সভাপতি সৌরভ প্রসাদ আগেই জানিয়েছিলেন, যে কোভিড বিধি মেনে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্থনৈতিক সন্ত্রাস ও স্বৈরাচারী আচরণ বন্ধ করতে হবে। সেই সঙ্গে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদে নিয়োগ ও বেকার যুবক-যুবতিদের ঘুষের বিনিময়ে নয়, যোগ্যতার ভিত্তিতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে ভ্রান্ত শিক্ষানীতির নামে শিক্ষার গৈরিকীকরণ চলছে। এই সব দাবি নিয়েই বিধানসভা অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584