কৃষি বিল বাতিলের দাবিতে অনশনে দমদম জেলের রাজনৈতিক কয়েদিরা

উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ

কৃষি বিল নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে দমদম সংশোধনাগারের রাজনৈতিক কয়েদিরা রবিবার অনশনে বসল। দিল্লির কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করে রবিবার সকাল থেকেই অনশনে বসেছেন দমদম সেন্ট্রাল জেলের দশ জন রাজনৈতিক বন্দি।

সোমবার বহরমপুর জেলের বন্দিরাও এই আইনের বিরোধিতায় অনশন করবেন বলে জানা গিয়েছে।দশ জন রাজনৈতিক কয়েদির অভিযোগ, লকডাউন ও করোনা অতিমারীর সুযোগ নিয়ে সরকার এই আইন পাশ করিয়ে নিয়েছে। এটা সরকারের প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়। তাঁদের আরও অভিযোগ, কৃষি আইনের প্রতিবাদে দিল্লির হাড় কাঁপানো ঠান্ডার মধ্যে বসে নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা।

আরও পড়ুনঃ জোর করে চিঠি লিখিয়েছিলেন প্রভাবশালী নেতা, কলকাতা ছেড়ে ফেরার হতে বাধ্য হইঃ সুদীপ্ত সেন

অথচ সরকার নিজেদের অবস্থান থেকে না সরে এসে, কৃষকদের প্রতি নরম মনোভাব না দেখিয়ে বিষয়টি আরও জটিল করে তুলতে চাইছে।সরকার যে কৃষকদের স্বার্থে এই আইন তৈরি করেনি রবিবার সেই অভিযোগও তুলেছেন কয়েদিরা। তাঁদের মতে, কর্পোরেটদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কৃষকদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করার একটা অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। যা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

আরও পড়ুনঃ সুনীলকেও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার আবেদন কৈলাসের

এ প্রসঙ্গে মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর-এর তরফে রঞ্জিত শূর বলেন, “কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতা করছি। এই আইন প্রত্যাহার করতে হবে। আমরা কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে এই আন্দোলনকে সমর্থন করছি।“কৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবিতে নিয়ে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে দিল্লির উপকণ্ঠে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন পাঁচশো বেশি কৃষক সংগঠন।

এদের মধ্যে রয়েছে আট-দশটি বাম সমর্থিত কৃষক সংগঠন। এর মধ্যে একটি কৃষক সংগঠন সরকারের এই কৃষক বিলকে সমর্থন করছেন। তারা সরকারের সঙ্গে কৃষি বিল নিয়ে একমত হয়েছেন। কৃষি বিল প্রত্যাহার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি হান্নান মোল্লা বলেছেন, “যে কৃষক সংগঠন সরকারের পক্ষ নিয়েছেন, তাদের এই সংগঠনের কোনো অস্তিত্ব নেই।

আরও পড়ুনঃ অমিত উবাচে আক্কেল গুডুম শান্তনুর, বেসুরো বিজেপি সাংসদ

সরকারের তরফে ভাড়া করে লোক এনে এই সংগঠন তৈরি করা হয়েছে কৃষিবিল সমর্থন করার জন্যই।“ তবে বারবার এই আইন সংশোধনের প্রস্তাব দিলেও কৃষক সংগঠনগুলি দাবি করেছে, সংশোধন নয়, এই আইন সম্পূর্ণ ভাবে প্রত্যাহার করে নিতে হবে। দফায় দফায় দু’পক্ষের বৈঠকের পরেও এখনও কোনও সামধানসূত্র বেরোয়নি বলে জানা গেছে।