মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
ফের কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক নিয়ে তর্জায় জমজমাট কোচবিহারের রাজনীতি। ঐতিহ্যের কোচবিহার শহর, মহারাজাদের সময় কাল থেকেই এখানে ছিল বিমান পরিষেবা। কোচবিহার থেকে কোলকাতা আকাশ পথের যোগাযোগ রাজ আমল থেকে নিয়মিত থাকেলেও ৯০-র দশক থেকে এই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর নানা সময় এই পরিষেবা চালুর চেষ্টা হয়েছে। কখনও বা কোচবিহার বিমান বন্দর থেকে উড়েছে বিমান। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে বিমান বন্দরের সংস্কার হয়েছে বটে, কিন্তু কাজের কাজ হল কই ? বিমান বন্দরের সংস্কারের জন্য কাটা হয়েছিল গাছ, ভাঙ্গা হয়েছিল পাখিদের আস্থানা সহ অনেক কিছুই কিন্তু নিয়মিত হল না উড়ান চলাচল। প্রতিশ্রুতি, ঘোষণা বার বার হলেও স্থায়ীভাবে উড়ান পরিষেবা শুরু করা যায় নি।
সম্প্রতি এই বিমান বন্দরে গৌহাটি কোচবিহার ও বাগডোগরা বিমান বন্দর পর্যন্ত ছোট বিমানের পরিষেবা চালু করার কথা বলেছিলেন কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। এই পরিষেবা শুরুর মুখেই বড় রকমের ধাক্কা খেল। সাংসদের ঘোষণার পরেই বিমান বন্দর থেকেই নিরাপত্তা কর্মীদের তুলে নেয় রাজ্য সরকার বলে অভিযোগ।
সোমবার কোচবিহারে আসেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঐতিহ্যের রাসমেলায় অংশ নিতে। তিনি কোচবিহারে এলেও ওইদিন কোচবিহার নেতাজী সুভাষ ইণ্ডোর স্টেডিয়ামে একটি কর্মীসভা করেন মমতা। সেখানে তিনি বলেন। ‘আমাদের পয়সায় নির্মাণ হয়েছে এয়ারপোর্ট, আর দালালী করবে ওরা’।
মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। তিনি বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ওরা আমরা বিভাজন করতে চাইলেও আমরা তা করতে দেব না। এই সঙ্গে তাঁর দাবী কোচবিহার বিমান বন্দর সংস্কারে একটি পয়সাও দেয়নি রাজ্য। কোচবিহারের বিমাণ পরিষেবা চালুর জন্য উদ্যোগী কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার কারনে সম্প্রতি চেষ্টা করেও এই পরিষেবা চালু করা যায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে নিশীথ বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভাষাজ্ঞান হারিয়েছেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584