স্পর্শ ভট্টাচার্য্য,উত্তর ২৪ পরগনাঃ
এ যেন ঠিক প্রদীপের নিচেই অন্ধকার।সাজানো গোছানো স্টেশন,বহু মানুষের যাতায়াত ঠিক তার পিছনেই জমে আছে প্লাস্টিক জাত এবং বিষাক্ত আবর্জনার স্তুপ।
যেখান থেকে অবিরাম পচা দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে।এরকম চিত্র দেখা যায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাত জংশন স্টেশনে।বারাসাত পাঁচ নম্বর স্টেশনের ঠিক উল্টো দিকে অবৈধ ভাবে জমে আছে বর্জ্য পদার্থ।এ ছবি ব্যতিক্রম নয় বারাসাত লাগোয়া বামনগাছিতেও।
বারাসাত জংশন একটি ব্যস্তবহুল গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন;স্টেশন চত্বরের দোকান এবং আশেপাশের এলাকার আবর্জনা অবৈধ ভাবে জমাট বেঁধে আছে স্টেশনের পিছনেই।
আবর্জনার ঐ পচা দুর্গন্ধে নাভিশ্বাস হতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের।আর তাতে কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই রেল কর্তৃপক্ষের।একই অবস্থা বারাসাত লাগোয়া বামনগাছিতেও,স্টেশন সংলগ্ন বাজারের আবর্জনা জমাট বেঁধে দূষণ ছড়াচ্ছে এলাকায়।
আরও পড়ুনঃ বাজারের মাঝে আবর্জনার স্তুপ,দূষণ ছড়াচ্ছে এলাকায়
নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ দুর্গন্ধে স্টেশন চত্বরে দাঁড়ানো যায় না,স্টেশনের পাশেই জমে আছে পচা আবর্জনা,যা থেকে ছড়াচ্ছে দূষণ,তাছাড়া তাদের দাবি বার বার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোনো হেল দোল নেই প্রশাসনের।
স্টেশন চত্বরে জমা আবর্জনা নিয়ে বামনগাছির স্টেশন মাস্টার কে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।আবর্জনার স্তুপ কে অপসারণ এবং সেটাকে পুনরায় ব্যবহারের ব্যাবস্থা কেন করা হচ্ছে না এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে পরিবেশ মহলে।
দূষণ জনিত উদ্বেগ নিয়ে পরিবেশবিদ তুহিন মল্লিকের দাবি প্রশাসনকে সচেতন হতে হবে,জমা আবর্জনা থেকে বহু ভয়ঙ্কর রোগ ছড়াতে পারে এছাড়া সাধারণ মানুষকেও বার্তি সচেতন করতে হবে যাতে এলাকা পরিষ্কার রাখতে প্রশাসনের সহায়তা করে অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সাহায্যে অভাবে প্রশাসন কাজ করতে ব্যর্থ হয়,এমনটি যেন না হয়।
রবিবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং প্লাস্টিক বর্জিত ভারতের ডাক দেন,এছাড়া তার ব্যতিক্রমী প্রকল্প স্বচ্ছ ভারত;তা সত্ত্বেও আবর্জনা জমাট করাকে নিয়ে কেন্দ্র সরকারের অন্তর্ভুক্ত রেলের এরকম গাফিলতির চিত্র নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।প্রধানমন্ত্রী যতই স্বচ্ছ ভারত কিংবা প্লাস্টিক বর্জিত ভারতের সূচনা করুক আদতে তা কবে সফল হবে সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584