পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
বিশ্বভারতীতে সফররত উপরাষ্ট্রপতির মন জয় করতে যখন ব্যস্ত বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ঠিক তখনই বিশ্বভারতীর উপাচার্য পদে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে চাই না বলে একাধিক পোস্টার পরল রবীন্দ্র ভবন, বিনয় ভবন জুড়ে।
বিনয় ভবনের প্রবেশ দ্বারে দুটি পোস্টার নজরে আসে, একটিতে উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডুকে স্বাগত জানানো হয়েছে বিশ্বভারতীতে অপরদিকে ঠিক পাশের একটি পোস্টারে উপাচার্যকে চাই না বলে অপসারন চাওয়া হয়েছে।
তবে কে কারা এই পোস্টার গুলো বিভিন্ন ভবনের গেটে সাঁটিয়ে গেছে সে বিষয়ে কিছুই জানা নেই বলে দাবি করেছেন বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার সৌগত চট্টপাধ্যায়।
পোস্টার লাগানো ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিশ্বভারতী জুড়ে। সামান্য কিছুদিন বিশ্বভারতী উপাচার্য পদে যোগদান করার পরে ইতিমধ্যে উঠতে শুরু করেছে একাধিক নিয়ম বহির্ভূত লেনদেনের অভিযোগ। বিশ্বভারতীর কর্মী সভার সভাপতি গগন সরকার বলেন, বর্তমান উপাচার্য একজন দুর্নীতিগ্রস্ত উপাচার্য বিভিন্ন রকমের আর্থিক দূর্নীতির সাথে জড়িয়ে গেছেন।
গত কয়েকদিন আগে একটি প্রতীকী অনশনের আয়োজন করেছিল বিশ্বভারতীর উপাচার্য সেই অনশনের ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন কর্মী সভার সভাপতি। ইতিমধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের তরফেও একাধিক অভিযোগ তোলা হচ্ছে। সবমিলিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে সর্বসস্তরে হেনস্তার শিকার হতে হবে আগামী দিনে সেটা আাজকের দেওয়াল লিখন থেকে পরিস্কার।
যদিও সমস্ত বিষয় নিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে বারবার ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। বিশ্বভারতী রেজিস্টারকে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সমস্ত প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে দাবি করেন বেশি প্রশ্ন তাকে করা যাবে না নইলে তিনি কোন কথাই বলবেন না বলে জানিয়ে দেন।
আরও পড়ুনঃ বেলদায় চাষের কাজে গিয়ে বজ্রাঘাতে মৃত্যু
কে বা কারা বিনয় ভবনে এই ধরনের পোস্টার রাতের অন্ধকারে অনায়াসে লাগিয়ে গেল তা নিয়ে কিন্তু কার্যত মুখ পুড়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। কারণ বিশ্বভারতীতে নিজস্ব নিরাপত্তা বিভাগ রয়েছে, সমস্ত ভবনের সামনে একাধিক নিরাপত্তাকর্মী নিরাপত্তায় হাজির থাকে, নিরাপত্তাকর্মী থাকা সত্ত্বেও কিভাবে কে বা কারা উপাচার্যের অপসারণ চেয়ে পোস্টার লাগিয়ে গেল তা নিয়ে কিন্তু বিশ্বভারতী অন্দরমহলে চোরা ঝড় বইতে শুরু করেছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584