নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ারঃ
শিউলির সুবাস আর কাশফুল মনে করিয়ে দিচ্ছে মা আসছে। কিন্তু পুজোর গন্ধ বাতাসে ছড়ালেও পথেঘাটে নেই সেরকম জৌলুস। করোনার চোখ রাঙানিতে সবাই তটস্থ। আর তাতেই মুখ ভার মৃৎশিল্পীদের।
পুজো দোরগোড়ায় এলেও, করোনা আবহে প্রতিমার বরাত কম এবছর।পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে ফালাকাটার মৃৎশিল্পীরা। প্রতি বছরই মহালয়ার দিন অর্থাৎ দেবীপক্ষের সূচনার দিনে দেবীর চোখ আঁকা হয় এবং শুরু হয় প্রতিমা রং করার কাজ।
আরও পড়ুনঃ কোচবিহার জেলা শাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ নারী সুরক্ষা সংঘের
এবছর করোনা পাল্টে দিয়েছে পুজোর আগের চেনা পরিস্থিতিটা। অন্য বছর ফালাকাটার মুজনাই, জটেশ্বরের প্রতিমার দোকান গুলিতে এই সময় মৃৎশিল্পীরা কথা বলার সময় পেতেন না। এমনকি বাড়ির মহিলারাও সকালে নিজেদের বাড়ির কাজ শেষ করে লেগে পড়তেন দুর্গা প্রতিমা সাজানোর কাজে। লকডাউনে আর্থিক অবস্থা বেহাল হওয়ায় পরিচিত পুজো কর্তাদেরও দেখা মিলছে না এবার।
আরও পড়ুনঃ বকেয়া টাকার দাবিতে আন্দোলনে নামল কোচবিহার জেলা পরিষদ অধীনস্থ পাম্প কর্মচারীরা
যার জেরে চরম সংকটে পড়েছেন আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা ব্লকের প্রতিমা শিল্পীরা। শিল্পীরা বলছেন, ‘’শুধুমাত্র নিয়মরক্ষায় ছোট মূর্তি বানিয়ে সমস্ত পুজো কমিটি এ বছরের পুজো সারতে চাইছেন। দুর্গাপুজোর সময় আমাদের সারা বছরের খরচ উঠে আসতো। কিন্তু এ বছর অর্ধেকেরও নীচে নেমে গেছে পুজো থেকে আসা আয়।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584