ওয়েবডেস্কঃ
এই শতকের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি কেরল। সরকারি হিসেবে ইতিমধ্যে বন্যার বলি ৩৭০, মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। দেড় হাজারের বেশি ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছে ৮ লক্ষের বেশি মানুষ, ৮ হাজার বাড়ি জলের তোড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, অল্প ক্ষতিগ্রস্ত ২৬০০-এর বেশি বাড়ি। প্রকট হয়েছে পানীয় জলের সমস্যা।
প্রধানমন্ত্রী বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ত্রাণের পরিমাণ ১০০ কোটি থেকে ৫০০ কোটি করেছেন। কিন্তু সেটাও যথেষ্ট নয় দাবি করেছেন রাহুল গান্ধী থেকে জিগনেশ মেভানি পর্যন্ত । মোদী সরকারের সমালোচনা করে জিগনেশ মেভানি টুইটে খোঁচা দিয়ে বলেন যে মোদী সরকার বিজ্ঞাপন বাবদ খরচ করছে ৪৩০০ কোটি টাকা, অথচ কেরলের বন্যার জন্য বরাদ্দ মাত্র ১০০কোটি টাকা।
চেঙ্গানুরের এমএলএ সাজি চেরিয়ান এক মালায়ালাম টিভি শো’তে নিজের বিধানসভা এলাকার দূরাবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে ভেঙে পড়ে করুণ আর্তনাদ করে বলেন,”প্লিজ মোদিকে বলুন হেলিকপ্টার দিতে… প্লিজ, প্লিজ; অন্যথা পঞ্চাশ হাজার মানুষ মারা যাবে। আমরা গত চার দিন ধরে নেভীর সাহায্য চাইছি, কিন্তু পাইনি। এয়ারলিফ্টিংই একমাত্র সমাধান। প্লিজ, প্লিজ, প্লিজ!”
সেই আর্তনাদে কেন্দ্রীয় সরকার সাড়া দিয়েছেন, তারসঙ্গে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে দেশের বিভিন্ন রাজ্য, বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ, এমনকি সাধারণ জনগণও।শুধু আমাদের দেশ নয় , এগিয়ে এসেছে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ। আরব বিশ্বের পর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কাতার। তারা ৩৫ কোটি টাকা দেবে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গেছে পোপ ফ্রান্সিস আবেদন করেছেন কেরালার বন্যার্তদের সাহায্যার্থে সারা বিশ্বকে এগিয়ে আসতে। কেরলের বন্যাকে ‘চরম বিপদ’ হিসেবে বর্ণনা করে পোপ ফ্রান্সিস কেরালার কয়েক লক্ষ মানুষের জন্য আন্তর্জাতিক মহলের কাছে ‘কংক্রিট সাপোর্ট’এর আবেদন করেন।ভ্যাটিক্যান নিউজে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে আজ ভ্যাটিক্যান সিটিতে বন্যার্তদের জন্য প্রার্থনাও করা হয় ভ্যাটিক্যানের সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584