শরীয়তুল্লাহ সোহন, ওয়েব ডেস্কঃ
চলছে শীতকালীন সাংসদ অধিবেশন। সাংসদ অধিবেশনে দেশের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ নির্বাচনী আইন সংশোধনী বিলে স্বাক্ষর করলেন। গতবছর ২০২০ সালে লোকসভা ও রাজ্যসভায় এই বিল পাশ করা হয়েছিল। ২০২১ সালের শেষ পর্যায়ে এসে এই বিলে স্বাক্ষর করলেন রাষ্ট্রপতি। নির্বাচনী সংশোধনী বিল পরিণত হল আইনে। এই বিলের পাশাপাশি মাদকদ্রব্য সংশোধনী বিলে সই করেছেন তিনি। মাদকদ্রব্য সংশোধনী বিল নিয়ে সেভাবে বিরোধীরা বিরোধিতা না করলেও , নির্বাচনী আইন সংশোধনী বিলের তীব্র বিরোধিতা করেছেন বিরোধীরা। কারণ এই বিল সাধারণ মানুষের জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে বলে দাবি করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।

বিশেষভাবে উল্লেখ্য, এই নির্বাচনী সংশোধনী আইন সাংসদে আনার পর থেকে এই বিষয় নিয়ে চরম আপত্তি তুলেছিল বিরোধীরা। ভোটার কার্ডের সাথে আধার লিঙ্ক করার বিষয়টি সামনে তুলে বিরোধীরা ব্যাপকভাবে বিরোধিতা করেন। কিন্তু বিরোধীরা সংখ্যাগরিষ্ঠতার কাছে হার মেনে যায় এবং বিলটি খুব সহজেই দুই কক্ষে পাশ হয়ে যায়। এই আইন পাশ হওয়ার ফলে এখন থেকে পরিচয় প্রমাণের জন্য ভোটার হিসেবে নথিভুক্ত করার জন্য রেজিস্ট্রেশন অফিসার আধার কার্ডের নম্বর চাইতে পারেন।
যদিও এই বিষয়টিকে ভালোভাবে নেননি বিরোধীরা। তবে বিরোধীদের পাল্টা হিসেবে আইনমন্ত্রী দাবি করেন এই সংশোধনীর মাধ্যমে ভুয়া ভোটার রুখে দেওয়া সম্ভব হবে। পাশাপাশি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আসবে বলে তিনি দাবি করেন।
আরও পড়ুনঃ যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোতে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ল ১০০০ বাড়ি, জারি জরুরি অবস্থা
তবে দেশের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস সহ অন্যান্য দলগুলো একসুরে বলেন, এই সংশোধনী আইনের মাধ্যমে মানুষের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। যদিও আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজু বিরোধীদের দাবিকে অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন এবং বিলের প্রয়োজনীয়তা ব্যাপারে সবাই কে অবগত করার জন্যে দলীয় সাংসদের ক্লাস নেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584