ঊর্ধ্বমুখী খাদ্য মূল্যস্ফীতি, বাড়ছে উদ্বেগ

0
64

নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ

করোনা পরিস্থিতিতে দেশজোড়া লকডাউনের পর জিডিপি উত্থান হয়েছে ঠিকই, তবে তা ঋণাত্মক। বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল স্ট্যাটেস্টিকাল অফিস (এনএসও) চলতি আর্থিকবর্ষের যে জিডিপি বৃদ্ধির পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে তা মাইনাস ৭.৭%। সরকারের দাবি লকডাউনে প্রাথমিকভাবে যে পরিমান ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছিল ঠিক ততটা ক্ষতি হয়নি।

Price Hike | newsfront.co
প্রতীকী চিত্র

এনএসও জানিয়েছে, এই এক বছরে যে হারে বেড়েছে খাদ্য মূল্যস্ফীতি, এই মুহূর্তে সেটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আরবিআইয়ের তরফে সুদের হার আরও কমানো বা উপযুক্ত আর্থিক নীতি অবস্থানও নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইউএন খাদ্য ও কৃষি সংস্থা ডিসেম্বরের জন্য সর্বশেষ খাদ্য মূল্য সূচক (এফপিআই) প্রকাশ করেছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলেই মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ ২০২১ সালে মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগবে ১০ লাখের বেশি শিশু, তথ্য ইউনিসেফের

এই এফপিআই থেকে দেখা যাচ্ছে খাদ্য সামগ্রীর আন্তর্জাতিক মূল্য অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ছ’বছরের মধ্যে এই মূল্যবৃদ্ধি সর্বোচ্চ। গম, ভুট্টার দানা, সোয়াবিন, পাম তেলের দাম বিশ্ব বাজারে বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকটাই। স্কিমড মিল্ক পাউডারেরও দাম বেড়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে। মূলত, করোনা-লকডাউনের জেরেই কৃষিজ পণ্যের দাম বেড়েছে পাল্লা দিয়ে।

আরও পড়ুনঃ দেশে ভ্যাকসিন শুরুর তারিখ বদল

ভারতে মে মাস থেকে লকডাউন কিছুটা শিথিল হয়েছে ঠিকই কিন্তু খাদ্যের বিষয়ে ভারতকে অনেকাংশেই নির্ভর করতে হয় বিদেশের উপর। থাইল্যান্ড, ব্রাজিল, ইউক্রেন থেকে অনেক খাদ্য পণ্যে আসে। কিন্তু কোভিডের কারণে তা বন্ধ হয়েছে। ফলে বাজারে চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত যোগান নেই। যার ফলে বেড়েছে দাম।

এফপিআই থেকে জানা যাচ্ছে দেশে দুধের দাম বাড়তে পারে অনেকটাই। একদিকে চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে, আরেকদিকে ক্রমশ বেড়েছে দুধের ঘাটতি। ফলে নতুন বছরেই দাম বৃদ্ধি পেতে চলেছে দুধের। রাজ্যের বেশিরভাগ অঞ্চলে ডেয়ারি ফার্মাররা দুধের জন্য প্রতি লিটারে ২৫ থেকে ২৬ টাকার দাম নির্ধারণ করছেন।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here