নিজস্ব সংবাদদাতা,উত্তর দিনাজপুরঃ
চোপড়া কান্ডে তদন্ত অনেকটা গুটিয়ে নিয়ে এসেছে পুলিশ। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই তদন্ত শেষ হবে বলে পুলিশের দাবি। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছে ওই ছাত্রী এবং মৃত কিশোর। পুলিশ জানিয়েছে, সম্পর্কের টানাপোড়েনেই ওই কিশোর-কিশোরী একসঙ্গে আত্মঘাতী হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।

তদন্তের বিভিন্ন দিক এবং মৃত দুজনের ময়না তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতেই প্রাথমিকভাবে পুলিশ এই ধারণায় পৌঁছেছে। ইসলামপুর পুলিশ জেলার এসপি সচিন মক্কারও জানান, চোপড়ায় জোড়া মৃত্যুর তদন্ত প্রায় শেষের দিকে। তিনি বলেন, ‘‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মিলেছে। তাতে অনেক তথ্যই উঠে এসেছে। এক-দু’দিনের মধ্যে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট ভাবে বলা সম্ভব হবে।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তে উঠে এসেছে, এই ঘটনার শুরু এপ্রিলের প্রথম দিকে।
আরও পড়ুনঃ করোনা হাসপাতালে ৫০ টি নতুন বেডের সাহায্য পরিবহণমন্ত্রীর
ওই সময়ে কিশোরীর মোবাইল ফোন ঘেঁটে কয়েকটি মেসেজ দেখতে পান তার মা। তাতে উৎকণ্ঠিত পরিবার মেয়েটিকে লকডাউনের মধ্যেই ব্যবস্থা করে শিলিগুড়িতে দিদির বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। জুলাইয়ের প্রথমদিকে বাড়ি ফিরে আসে মেয়েটি। মৃত ছাত্রীর মোবাইল ফোন ঘেঁটে পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার আগের দিন মেয়েটি ছেলেটিকে রাত ১১টা ৬ মিনিটে মেসেজ করে একসঙ্গে পালিয়ে যেতে বলে।
আরও পড়ুনঃ স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ অভিভাবকদের, সমর্থনে এআইডিএসও
আরও জানায়, পালানো সম্ভব না হলে একসঙ্গে বিষ খেতে পারে তারা, এমন পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছিল মেসেজে । তদন্তে জানা গিয়েছে, মেয়ের বাড়ির লোক ঘুমিয়ে পড়লে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ছেলেটি সম্ভবত সাইকেলে চেপে মেয়েটির বাড়িতে আসে। তারা একসঙ্গেই বিষ খায় বলে অনুমান পুলিশের। মেয়েটির বাবা চা বাগানে কীটনাশক সাপ্লাইয়ের ব্যবসা করেন। তাই বিষ জোগাড় করতে দুই জনের অসুবিধা হয়নি। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দুই জনের দেহে একই বিষ মিলেছে।
কিন্তু ছেলেটির মোবাইল ফোন এবং সাইকেল এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তদন্তে পুলিশ ধারণা করছে, সেদিন ভোর রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটির পরিজনেরা দু’টি দেহই দেখতে পেয়েছিল। তখনই কেউ সম্ভবত ছেলেটির দেহ নয়ানজুলিতে ঠেলে ফেলে দিয়েছিল , এখন সেই বিষয়ে তদন্ত চলছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584