নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
বিয়ের মাত্র ১৫ দিনের মাথায় এক অধ্যাপকের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুরে। সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীর বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ তুলেছেন পরিবারের লোকেরা। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে তদন্তে নেমেছে কেশপুর থানার পুলিশ।
মৃতের নাম প্রতীম মাইতি। বাড়ি, কেশপুর ব্লকের আঁধিচক গ্রামে। দাসপুর থানার নাড়াজোল রাজ কলেজের অধ্যাপক ছিলেন প্রতীম। জানুয়ারি মাসেই বিয়ে করেছিলেন তিনি। স্ত্রী ব্রততী পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটের মাধ্যমে দেখাশোনা করে বিয়ে হয় দু’জনের।
পরিবারের লোকেদের দাবি, সোমবার মাঝরাতে বাড়িতে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই অধ্যাপক। প্রায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে প্রতীমকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুনঃ পোলিও নয়, ১২ জন শিশুকে খাওয়ানো হল স্যানিটাইজার
মৃতের পরিবারের লোকেদের দাবি, প্রতীমের স্ত্রী ব্রততী অত্যন্ত আধুনিকা। বিয়ের পর শাড়ী না পরে সালোয়ার কামিজ পরতে চাইতেন তিনি। গ্রাম্য পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ছিল না একেবারেই। এই শহুরে চালচলন নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত। সেই বিবাদের কারণে প্রতীমকে খুন করেছে তাঁর স্ত্রীই।
আরও পড়ুনঃ উল্টোডাঙায় অ্যাসিড হামলায় আহত গৃহবধূ, ধৃত ১
যদিও ব্রততীর পাল্টা অভিযোগ, স্বামীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক একেবারেই স্বাভাবিক ছিল। বরং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা দুর্ব্যবহার করতেন। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছেন অধ্যাপকের বাড়ির ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।
তবে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে । সেই সঙ্গে মৃত অধ্যাপকের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584