বুম্বাদার বিজেপি যোগের জল্পনা ওড়ালেন দিলীপ ঘোষ

উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ

টলিউডের সুপার স্টার আপমর বাঙালির ‘বুম্বাদা’ এবার কি তাহলে পদ্ম শিবিরের দিকে পা বাড়াতে চলেছেন ? মঙ্গলবার রাত থেকে এরকম জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে কলকাতায়। সেদিনই সকালে মুম্বইয়ের মাড আইল্যান্ডে মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করেছেন মোহন ভাগবত। সে নিয়ে জল্পনার রেশ কাটার আগেই প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়ের ‘দরবার’-এ হাজির হলেন বিজেপি নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়।

অমিত শাহকে নিয়ে লেখা তাঁর বই ‘অমিত শাহ এন্ড মার্চ অব বিজেপি’। এই বই তিনি উপহার দিলেন অভিনেতাকে। বিজেপির ভাষায় তা কেবল ‘সৌজন্য আলাপচারিতা’ হলেও ব্যক্তির নাম যেহেতু প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ফলে জল্পনা তৈরি হওয়াটাই স্বাভাবিক। ইতিমধ্যেই সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘুরছে ওয়ালে ওয়ালে।

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নেতাজি জন্ম জয়ন্তীতে হাজির হয়েছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সেখানে চা চক্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলাদা করে কথাও হয়েছে তাঁর। যদিও অনুষ্ঠানটি সরকারি ছিল। তাও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৈরি হয়েছিল জল্পনা।

এবার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অধিকর্তা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা গেল অভিনেতা প্রসেনজিৎকে। ভোটের আগে বহিরাগত ইস্যুতে বিজেপিকে বিঁধেছে তৃণমূল। সেই প্রেক্ষাপটে চব্বিশ ঘণ্টার ব্যবধানে প্রসেনজিৎ ও মিঠুনের কাছে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের আগমন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুনঃ প্রসেনজিতের বাড়িতে বিজেপি নেতা

অনেকেই মনে করছেন, দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির গায়ে বাঙালি বিরোধী তকমা সেঁটে দিতে চেষ্টার খামতি রাখেনি বিরোধীরা। ‘কুলীন বাঙালি’রা দূরত্ব মেপেই চলেছে। স্বাভাবিকভাবে প্রসেনজিৎ বা মিঠুন চক্রবর্তীকে যদি বিজেপি বা সঙ্ঘের নেতাদের সঙ্গে দেখা যায়, তখন সেই অস্পৃশ্যতা আর থাকে না। একুশের আগে সম্ভবত সেটাই লক্ষ্য বিজেপির।

আরও পড়ুনঃ পুদুচেরির লেফটেন্যান্ট রাজ্যপালের পদ থেকে অপসারণ কিরণ বেদিকে

যদিও প্রসেনজিতের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা উড়িয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিজেপি নেতার দাবি, পুরোটাই সৌজন্য সাক্ষাত্। পাশাপাশি গতকালই বিজেপি নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রসেনজিতের সঙ্গে সাক্ষাতের পরেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।

প্রসেনজিত কি এবার তাহলে রাজনীতির ময়দানে? যদিও বিজেপি নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, তাঁর লেখা বই অমিত শাহ অ্যান্ড দ্য মার্চ অফ বিজেপি-বইটি অভিনেতার হাতে তুলে দেওয়ার জন্যেই তিনি গিয়েছিলেন প্রসেনজিতের দরবার এ।