নিজস্ব সংবাদদাতা,উত্তর ২৪ পরগনাঃ
বামনগাছির সৌরভকে মনে আছে? যার ক্ষতবিক্ষত দেহ রেল লাইনের ধারে পাওয়া গিয়েছিল। ২০১৪-র ৪ ঠা জুলাই সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে থেকে সৌরভকে তুলে নিয়ে যায় শ্যামল সরকার ও তার সঙ্গীরা।
কারণ, তাদের বহু দুষ্কর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন কলেজ পড়ুয়া সৌরভ।
আরও পড়ুনঃ পটাশপুরে মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য
ওই রাতেই তাঁকে খুন করে রেললাইনে ফেলে রাখা হয়। ভোরের ট্রেনের চাকায় দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় ওই পড়ুয়ার। ঘটনার প্রতিবাদে সরব হন এলাকার সর্বস্তরের মানুষ।
ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বামনগাছি। তদন্তে নেমে পুলিশ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে একে একে ১৪ জনকে গ্রেফতার করে। সাজাও ঘোষণা হয় তাদের। ফের আজকে প্রতিবাদীর মৃত্যু হলো সেই বামনগাছিতেই।
ছেলে নেশা করে তাই মাকে গিয়ে নালিশ জানিয়েছিল এক প্রতিবেশী। তার জেরে ওই ব্যক্তিকে মারধর করে নেশাসক্ত যুবক ও তার বাবা। রবিবার দত্তপুকুর থানার বামনগাছি মাঝেরপাড়া এলাকার ঘটনা।
আরও পড়ুনঃ করোনা আতঙ্কের জের, নিজের বাড়িতে ঠাঁই নাই শ্রমিকের
ঘটনার পর গুরুতর জখম ওই ব্যক্তিকে স্থানীয় বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় আলী হোসেন(৫২) নামের ওই ব্যক্তির। এই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত বাবা সিরাজুল হক(৫০) ও ছেলে হাফিজুল(২৫)কে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে হাফিজুল নামের ওই যুবক বিভিন্ন নেশার সাথে জড়িয়ে পড়েছিল, সে ঘটনাই তার বাড়িতে গিয়ে তার মাকে জানায় আলী হোসেন নামের ওই প্রতিবেশী। মৃতের পরিবারের দাবি, হোসেন আলী যখন মাঠে কাজ করছিল এ ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের বচসা বাঁধে।
তারপর অভিযুক্ত বাবা ও ছেলে তার মাথায় বাঁশের বাড়ি মারে। তারপর তাকে প্রথমে বারাসত হাসপাতাল ও পরে বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওখানেই তার মৃত্যু হয়। মৃতের ভাই থানায় লিখিত অভিযোগ করে। তার পরিপ্রেক্ষিতে ২ জন কে গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আলী হোসেনের মৃত্যু ফের প্রমাণ করলো প্রতিবাদীর মৃত্যু হয়না।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584