পুজো,কেক কাটা থেকে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ‘কে ক্ষুদিরাম’ এর প্রকাশ ঘিরে

0
552

নিজস্ব প্রতিবেদন,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

সোমবার শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর ১৩০তম জন্ম বার্ষিকী।আর এদিন সকালে শহীদ ক্ষুদিরামকে বিশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হবে তাঁর স্মৃতি বিজড়িত মেদিনীপুর শহরের হবিবপুরে।এদিন সকালে শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর জন্মদিনে আনুষ্ঠানিকভাবে ভাবে প্রকাশিত হবে গবেষক অরিন্দম ভৌমিকের লেখা “কে ক্ষুদিরাম” বইটির।

উন্মোচনের অপেক্ষায়।নিজস্ব চিত্র

“…মহাপুরুষদের গর্ভে ধারণ করতে হলে নাকিব চোখের জল ফেলতে হয়”, বলেছিলেন অপরূপা দেবী।সত্যিই অনেক চোখের জল ফেলেছিলেন মা লক্ষীপ্রিয়া দেবী।কথিত আছে তিনি দীর্ঘজীবি পুত্রলাভের কামনায় তিনদিন শুদ্ধভাবে অনাহারে সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরে হত্যা দেন। তৃতীয় দিন গভীর রাত্রে স্বপ্নে মা-কালী আবির্ভূতা হয়ে বর দেন যে তিনি আবার একটি পুত্র লাভ করবেন কিন্তু সে অল্প বয়সে নিজের জীবনের বিনিময়ে অমরত্ব লাভ করবে। এই রকম অস্বাভাবিক স্বপ্ন দেখে লক্ষীপ্রিয়া দেবীর মনে আনন্দ ও আতঙ্কে মনের ভেতর তীব্র আলোড়ন হতে লাগলো।
এই ঘটনার প্রায় এক বছর পরে বাংলা ১২৯৬ সালের ১৯ শে অগ্রহায়ণ, মঙ্গলবার (৩রা ডিসেম্বর ১৮৮৯)শুক্লপক্ষে মহাকাশ থেকে খসে পড়েছিল একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। মেদিনীপুর শহরের হবিবপুর মহল্লার একটি বাড়িতে ভেসে উঠেছিল নবজাতকের কান্না,ধন্য হয়েছিল মেদিনীপুর, শঙ্খধনীতে মুখরিত হয়েছিল একটি বাড়ি, শিশুর কান্নায় জন্ম নিয়েছিলেন সিদ্ধেশ্বরী কালী মায়ের বরপুত্র – “ক্ষুদিরাম”।

সেই হবিবপুরের বাড়িতেই শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর ১৩০ তম জন্মদিন উপলক্ষে সোমবার জন্ম নেবে অরিন্দম ভৌমিকের লেখা “কে ক্ষুদিরাম?”।শহীদ ক্ষুদিরামের মূর্তিতে সবাই ধুপ জ্বালিয়ে মাল্যদান করার পর,বইটির একটি ছবির (৬ফুট উঁচু) আবরণ উন্মোচন করবেন কলেজিয়েট স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক হরিপদ মণ্ডল।

এর পর বইটি উদ্বোধন করবেন ক্ষুদিরামের মাতৃসমা দিদি অপরূপা দেবীর নাতি সুব্রত রায় (রাহুল) ও তাঁর স্ত্রী মমতা রায় (ভীমাচরণ রায়ের ছেলে ও বৌমা)। সঙ্গে থাকবেন অন্যান্য আত্মীয়রা।

জন্মভিটায় বইটি উদ্বোধনের পরেই বইটি উৎসর্গ করা হবে সিদ্ধেশ্বরী কালীমায়ের চরণে,সেখানে পুরোহিতরা পুজো দেবেন বইটির এবং শহীদ ক্ষুদিরামের।

পুজোর শেষে শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর জন্মভিটের ভেতরে ১৩০টি মোমবাতি জ্বালিয়ে জন্মদিনের কেক কাটা হবে।

জন্মদিনের কেক কাটার আয়োজন।নিজস্ব চিত্র

কেক কাটার পরে উপস্থিত সবাই মিলে ক্ষুদিরামের চিতাভূমির মাটি ও গণ্ডক নদীর জল দিয়ে একটি অমলতাস গাছ লাগান হবে।পাশাপাশি ক্ষুদিরামের স্মৃতি বিজড়িত মোহবনী,হাটগাছিয়া, তমলুকেও প্রকাশিত হবে বইটি।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here