নিজস্ব প্রতিবেদক,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
শীতের মিঠে রোদের আমেজকে গায়ে মেখে মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর হল ময়দানের নজরুল মূর্তির সম্মুখে প্রকাশিত হলো জলদ্বর্চি পত্রিকার নববর্ষ তথা বইমেলা সংখ্যা।কবিতাপাঠ গান স্মৃতিচারণ নববর্ষ সংখ্যা প্রকাশ সাহিত্য আড্ডা ইত্যাদির মাধ্যমে ২০১৯ তথা নতুন বছরকে বরণ করে নিতে রবিবার(৩০ডিসেম্বর) মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর স্মৃতি হল প্রাঙ্গনে জ্বলদর্চি’র উদ্যোগে বসেছিল চাঁদের হাট।শিল্পী অমিতেশ চৌধুরী গানের মাধ্যমে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।সদ্যপ্রয়াত কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ও কবি পৌলোমী সেনগুপ্তের স্মৃতি উদ্দেশ্য শোকজ্ঞাপন করা হয়।কবিতা পাঠ করেন রাখহরি পাল, সুব্রত দাস,লক্ষণ ঘোষ, ভবেশ মাহাত, নিসর্গ নির্যাস মাহাতো, বিজয় মাল প্রমুখ। ইংরেজি নববর্ষ প্রসঙ্গে স্মৃতিচারণ করেন মধুপ দে, অচিন্ত মারিক। বক্তব্য রাখেন তাপসকুমার দত্ত,গৌতম মাহাতো প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন জয়া মুখার্জী, সৈয়দ স্নেহাংশু, অনুপ মাহাতো, অভিজিৎ দে,সমর বৈরাগী,বিশ্ব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।সূত্রধরের কাজ করেন সঞ্জীব ভট্টাচার্য।বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক,পাথরা মন্দির সংরক্ষণ আন্দোলনের পথপ্রদর্শক ইয়াসিন পাঠান প্রকাশ করেন জ্বলদর্চির নববর্ষ ২০১৯ তথা বইমেলা সংখ্যা। এ সংখ্যায় আছে চিত্রশিল্পী অনুপ রায়ের চিত্র নিয়ে চিন্ময় মুখোপাধ্যায়ের মনোজ্ঞ আলোচনা। সম্প্রতি, শিল্পী অনুপ রায় শারীরিক সমস্যার কারণে বাধ্য হয়ে বাম হাতেই আঁকছেন ছবি।সেরকমই বেশ কিছু ছবি স্থান পেয়েছে, এই সংখ্যায়।প্রচ্ছদও তাঁরই।
সৌগত ঘোষ লিখেছেন ‘রবীন্দ্র শিক্ষাচিন্তায় শিক্ষক ‘ নামে গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ।রয়েছে বেশ কিছু কবিতা ও সৈয়দ স্নেহাংশুর ফোটোগ্রাফি।গল্প লিখেছেন তাপসকুমার দত্ত, ছড়া লিখেছেন সুদর্শন নন্দী।
এই সংখ্যার আমন্ত্রিত সম্পাদক তাপস কুমার দত্ত ও প্রসূনকুমার পড়িয়া।
উল্লেখ্য, ‘জ্বলদর্চি’
গত ছাব্বিশ বছর ধরে নিয়মিত প্রকাশ পাচ্ছে দুই মেদিনীপুর থেকে একযোগে।
আরও পড়ুন: মৃতদেহ উদ্ধার
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584