অরুন কুমার সাউ,তমলুকঃ
মেদিনীপুর তথা তমলুকের সাংস্কৃতিক জগতের নক্ষত্র পতন ঘটল।শিক্ষক, নাট্যব্যক্তিত্ব শ্রী রক্তকমল দাশগুপ্ত আমাদের ছেড়ে চলে যান আজ ভোর ৪.৩০ মি. নাগাদ।কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালীন বয়স হয়েছিল প্রায় ৭১বছর ।সুগার হাই ও কিডনির সমস্যায় দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন।প্রায়ই ডায়ালিসিস হত।তমলুকের নাট্যজগতের একটি উজ্জ্বল নাম রক্তকমল দাশগুপ্ত ।
তমলুকের পদুমবসানে ছিল বাসভূমি।বাবা ছিলেন শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত । অর্থনীতিতে স্নাতক হলেও ছোটবেলা থেকেই নাটকের প্রতি ছিল গভীর প্রেম।প্রথম জীবনে বেশ কয়েক বছর তমলুক হ্যামিল্টন হাইস্কুলের শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত থেকে ছাত্রদের প্রিয় শিক্ষক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।এরপর শিক্ষকতার পেশা ছেড়ে তিনি স্টেট ব্যাঙ্কের চাকুরী নেন ।কৈশোর থেকে নাটক অভিনয়ের সাথে সাথে নাট্য পরিচালক হিসেবে যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়ে থাকেন।
আরও পড়ুনঃ কালিয়াগঞ্জে নাট্য মেলার তৃতীয় দিন
শুধু তাই নয় বিভিন্ন নাট্যদলে তার যোগদান ওই সংস্থার ও শিল্পীদের বিস্ময়কর বিকাশের পথ করে দেয়।তাঁদের বহু একাঙ্ক নাটক ও পূর্নাঙ্গ নাটক জেলায় ও জেলার বাইরে অভিন্দিত ও সংবর্ধিত হয়।অল্প দিনের মধ্যেই নাট্যকার হিসেবে জেলা ছাড়িয়ে রাজ্যে তাঁর খ্যাতি বিস্তার লাভ করে।তাঁর লেখা পূর্ণাঙ্গ চারটি,একাঙ্ক ষোলটি,ছাব্বিশটি শ্রুতি নাটক ও পাঁচটি ছোটদের যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য।চারটি উল্লেখযোগ্য নাটক উলগুলান,জলবন্দী,মহড়া চলছে,মানুষ নিয়ে খেলা ।
তমলুক শহরের আবাসবাড়ীতে ৬০এর দশকে গড়ে ওঠা ‘গুডলাক ড্রামাটিক ক্লাব’ এর মূল সংগঠক ছিলেন শ্রী রক্তকমলবাবু।২০০৮সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শ্রেষ্ঠ নাট্যকারের সম্মান লাভ করেন।২০১৫ সালে কুমার রায় স্মারক সম্মানে ভূষিত হন।এরূপ কৃতী মানুষের প্রয়াণে তমলুক সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানের নাট্যপ্রেমী মানুষ জনেরা শোকাহত।
জেলা সহ তমলুকের বিভিন্ন নাট্যদল শোক জ্ঞাপন করেন । মঙ্গলবার দুপুরে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে কুমুদিনী ডাকুয়া মঞ্চে শিল্পকৃতি আয়োজিত জাতীয় নাট্য উৎসব ও আন্তঃবিদ্যালয় নাটক প্রতিযোগিতা চলা কালীন নিরবতা পালনের মাধ্যমে শোক জ্ঞাপন করা হয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584