নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
করোনা মহামারির ধাক্কায় অর্থনৈতিক মন্দার মুখোমুখি দুবাই। সেই ধাক্কা সামলাতে মদ বিক্রির নিয়মে অনেকটাই শিথিল করল দুবাই সরকার। মদের থেকে যে পরিমাণ রাজস্ব আসে তার ওপর অনেকটাই ভরসা করতে হচ্ছে সরকারকে।
রিয়েল এস্টেট এবং ট্যুরিজম এই দুই ক্ষেত্রেই মন্দা চলছে সরকারের আয়ে স্বাভাবিক ভাবেই টান পড়েছে। এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে দুবাইয়ে এই প্রথম চালু হয়েছে মদের হোম ডেলিভারি। আগে দুবাইয়ের অমুসলিম নাগরিকদের দুবাই পুলিশের থেকে একটি লাল কার্ড দেওয়া হতো, যেটি তাঁদের পারমিট হিসেবে গণ্য হতো মদ কেনা, বহন করা এবং পান করার।
আরও পড়ুনঃ করোনা পরিস্থিতিতে পিছিয়ে গেল নিউজিল্যান্ডের ভোট
এখন তার পরিবর্তে একটি কালো কার্ড দেওয়া হচ্ছে আমিরশাহীর নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে। রোজগার অনুযায়ী মদ কেনার ক্ষেত্রে কিছু বিধি নিষেধ ছিল আগে, এখন সেটাও অনেক সরল করা হয়েছে। গোটা আমিরশাহী এখনও করোনামুক্ত নয়, সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬৫ হাজার।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশকে করোনার ভ্যাকসিন প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকারের প্রতিশ্রুতি ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের
কাজেই অন্যান্য ক্ষেত্র স্বাভাবিক হয়ে রাজস্ব আদায় করতে যে সময় লাগবে তার মধ্যে সব সরকারি পরিষেবা একরকম রাখা সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ এখন। দুবাইয়ের বিখ্যাত রিয়েল এস্টেট সংস্থা ডামাক (DAMAC) ২০২০র প্রথমার্ধে প্রায় ১০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতির মুখে দাঁড়িয়ে। সব দিক বিবেচনা করে, মদের বিক্রি এবং ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করাই রাজস্ব বৃদ্ধির সহজতর উপায়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584