নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
একের পর এক বিশিষ্ট ব্যক্তির প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে মারণ এই করোনা ভাইরাস। এবার করোনার কোপে মুর্শিদাবাদের দুই কৃতী ব্যক্তিত্ব।করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রাণ গেল ঐতিহ্যবাহী কৃষ্ণনাথ কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের কৃতি অধ্যাপক পূর্ণেন্দু সেনের।
অসম্ভব প্রাণোচ্ছল এবং অত্যন্ত মিশুকে-আড্ডাপ্রিয় স্বভাবের মানুষ তিনি। বাড়ি বহরমপুরের গোরাবাজারে। তিনি ছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলার স্বনামখ্যাত ক্ষুদিরাম পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। কৃষ্ণনাথ কলেজের প্রাক্তনীর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদকও ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভোগার পর গতকাল দুপুর ১১:৪৫ নাগাদ বহরমপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
অপরদিকে গত ১৭ মে মাত্র ৬২ বছর বয়সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন আরেক কৃতি সন্তান এবাদুল হক। বিগত ৪২ বছর ধরে তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘আবার এসেছি ফিরে’ সাহিত্যমহলে যথেষ্ট সমাদৃত। ২০১৬ সাল থেকে সম্পাদনা করেছেন ত্রৈমাসিক কবিতা পত্রিকা ‘এবং পুনশ্চ’।
আরও পড়ুনঃ কাঠের বদলে টায়ার দিয়ে পোড়ানো হচ্ছে করোনা আক্রান্ত মৃতদেহ, সাসপেন্ড ৫ পুলিশকর্মী
১৭টি নাটকের সংকলন ‘এখনও লক্ষিন্দর’ এবং প্রায় একশটি গল্পের সংকলন ‘অনন্ত’ তাঁর সাহিত্যপ্রতিভার স্বাক্ষর বহন করছে। ‘আবার এসেছি ফিরে’ পত্রিকার জন্য রাজ্য এবং জাতীয় স্তরের প্রথম পুরস্কারও লাভ করেছেন তিনি। এই দুই ব্যক্তির অকাল প্রয়াণে মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
জেলার এই দুই কৃতি সন্তানের প্রয়াণে তাঁদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার- পরিজনকে মুর্শিদাবাদ জেলা সাংবাদিক সংঘের তরফে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানো হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584