নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
মাঝরাতে হাতরাসের নিগৃহীতার মৃতদেহ সৎকার করলো পুলিশ। হাজার অনুরোধ সত্ত্বেও দেহ শেষবারের মতো বাড়িতে আনার অনুমতি মেলেনি, জানালেন নিগৃহিতার ভাই। কড়া পুলিশি ঘেরাটোপে মঙ্গলবার রাত তিনটের সময় তরুণীর শেষকৃত্য করা হয়।
রাত সাড়ে তিনটের সময় সংবাদ মাধ্যমকে দলিত নিগৃহীতা তরুণীর ভাই জানান, গভীর রাতে বোনের দেহ অ্যাম্বুলান্সে করে দিল্লির হাসপাতাল থেকে হাতরাসে নিয়ে আসা হয়।
কিন্তু, পুলিশ আগে থেকে কিছু জানায়নি তাঁদের। পরিবারের পক্ষ থেকে বারংবার অনুরোধ করা হয় যাতে শেষবারের মতো একবার দেহ বাড়িতে নিয়ে আসার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু, শত অনুরোধেও অনুমতি মেলেনি। কেন এত তাড়াহুড়ো, প্রশ্ন উঠছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুনঃ আচমকাই ঘটছে বাবরি ধ্বংসের ঘটনা, বেকসুর খালাস সব অভিযুক্ত
রাত একটা নাগাদ মৃতার ভাই জানান, অ্যাম্বুলান্সে করে দেহ বড় রাস্তায় নিয়ে আসা হয়েছে, কিন্তু কোনোভাবেই দেহ বাড়িতে নিয়ে যেতে দিতে রাজি নয় পুলিশ। শ্মশানের আলো জ্বালিয়ে তখনই তাঁদের নিগৃহিতার শেষকৃত্য করতে বাধ্য করে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ, ভারতে কাজ বন্ধের ঘোষণা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের
যদিও নির্যাতিতার পরিবার মাঝরাতে শেষকৃত্য করতে রাজি ছিলেন না, বরং তাঁরা শেষবারের মতো দেহ বাড়িতে নিয়ে যেতে চান; এমনকি মৃতা তরুণীর বাবা তখনো দিল্লি থেকে বাড়ি ফিরতে পারেননি। ‘কেন এত তাড়াহুড়ো?’ প্রশ্ন শোকসন্তপ্ত তরুণীর ভাই এর।
মৃতা দলিত তরুণীর ভাই পুলিশের বিরুদ্ধে জোর করে শেষকৃত্য সম্পাদনের অভিযোগ তোলেন। বলেন, ‘আমাদের পরিবার এখন এইভাবে সৎকার করতে রাজি না হওয়ায় প্রায় বল প্রয়োগ করছে পুলিশ।
আত্মীয়রা যখন শেষ দেখাটুকু দেখতে গিয়েছেন, তখন তাঁদের মারধর করেছে পুলিশ। মহিলাদের চুড়ি ভেঙে গিয়েছে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে। ভয়ে আমরা গৃহবন্দি। কেন যে ওরা এইরকম করছে পুলিশ আমরা বুঝতেই পারছিনা।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584