নিউজফ্রন্ট ব্যুরোঃ
বিশ্বব্যাপীই সাংবাদিকের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে।কিছুদিন আগেই বুলগেরিয়ায় ধর্ষণ করে হত্যা করা হয় ভিক্টোরিয়া মারিনোভা নামক এক মহিলা সাংবাদিকে। মেক্সিকোর হেক্টর গোঞ্জালেজ, মাল্টায় ক্যারুয়ানা গালিজিয়াসহ এই বছরই বিশ্বব্যাপী ৪০ জন প্রথম সারির সাংবাদিকের সন্দেহজনক মৃত্যু হয়েছে।এই সাংবাদিকদের মৃত্যুর কারণে একটি সাধারণ মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে- প্রায় প্রত্যেকেই হয় কোন রাষ্ট্রশক্তি বা বড় কর্পোরেটের কোন বড় দূর্নীতির বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেছেন।
এই তালিকায় নবতম সংযোজন তুরস্কের ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে সৌদি রাজপরিবারের কঠোর সমালোচক সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যা।গত ২ অক্টোবর তুরস্কে ইস্তানম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে ঢোকার পর থেকেই নিখোঁজ সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি। অভিযোগ ওঠে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।এই নিয়ে সারা বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়াও দেখা দেয়।আঙুল ওঠে সৌদি রাজতন্ত্রের উপর, বিশেষ করে যুবরাজ সলমানের উপর। খাসোগি সৌদির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সলমানের একজন কঠোর সমালোচক ছিলেন।
তবে বিতর্কের জল অনেক দূর গড়িয়েছে।
আগামী ২৩ থেকে ২৫ অক্টোবর বাণিজ্য সম্মেলন হওয়ার কথা আছে। কিন্তু সেই বাণিজ্য সম্মেলন বয়কটের হিড়িক পড়ে গেছে।
অবশেষে চাপে পড়ে ঘটনার ১৭ দিন পর প্রথমবার সৌদি জামাল খাসোগির যে মৃত্যু হয়েছে, সে কথা স্বীকার করেছে। কনস্যুলেটের মধ্যে ধস্তাধস্তির পর তিনি নিহত হয়েছেন বলে স্বীকার করে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
তবে এই বয়কটের মাঝেও একমাত্র বন্ধু হিসাবে সৌদি রাজ পরিবার পাশে থাকছে বলা যেতে পারে তাদের আড়াল করার চেষ্টা করছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকা।তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে সৌদি রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে মুখ খোলার জন্যই কি সাংবাদিক জামাল খাগোসিকে চরম পরিণতির সম্মুখীন হতে হলো?
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584