আনিসুর রহমান, কলকাতা:
মাদ্রাসা সার্ভিস কমিসনের বৈধ্যতা নিয়ে মামলা করার পর পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা বোর্ড অ্যাক্টের বৈধ্যতা নিয়ে সুপ্রিমকোর্টে মামলা করল কাঁথি রহমানিয়ার পরিচালন কমিটির সম্পাদক আব্দুর রহমান। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করে মাদ্রাসায়। কিন্ত তারা উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হত।তাই সময়ের দাবী অনুযায়ী মাধ্যমিক বোর্ডের সমতুল্য ১৯৯৪ সালে স্বশাসিত মাদ্রাসা পষর্দ তৈরি হয়।যার ফলস্বরূপ মাদ্রাসা থেকে পাশ করা ছাত্র ছাত্রীরা বিভিন্ন চাকুরি পরীক্ষায় মাদ্রাসা বোর্ডের সাটির্ফিকেট দেখিয়ে বসতে পেতে শুরু করে।এককথায় মাদ্রাসা থেকে পাশ করা ছাত্র ছাত্রীদের সার্টিফিকেট গুলো বৈধতা পায়।কারন তার আগে মাদ্রাসা থেকে পাশ করা হাইমাদ্রাসা/কামিল পররীক্ষাকে মাধ্যমিক সমতুল্য গন্য করা হত না।ফলে মাদ্রাসাগুলি সুফল পেতে থাকে । মাদ্রাসাগুলিতে ১২ ক্লাস পর্যন্ত পড়াশোনা চালুর জন্য কিছু মাদ্রাসাকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অন্তর্ভূক্ত করা হয়।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য একসময় মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতনও সমকাজের মাধ্যমিক শিক্ষকদের সমতুল্য ছিল না। শেষে১৯৮৬সালে এই বৈষম্য দূর হয়।
২০০৭ সালে ১২ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত মাদ্রাসাগুলি সংখ্যালুঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিগণিত হয়। পরবর্তীতে ২০১০সালে ২৯ সে্প্টেম্বর সংবিধানের ৩০ নম্বর ধারা অনুুযায়ী মাদ্রাসা শিক্ষা পষর্দ ও মাদ্রাসা সার্ভিস কমিসনকেও সংখ্যালুঘু মর্যাদা দেয় রাজ্য সরকার।
এখন মামলাকারির দাবি সংখ্যালুঘু মর্যাদা পাওয়ার পর আইনগতভাবে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিসনের ন্যায় মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের পরিচালন,সভাপতি নিয়োগ, বেতন নির্ধারন করার ক্ষমতা সরকারের নেই।সংখ্যালঘুরাই নিজেদের পচ্ছন্দ মত মাদ্রাসা বোর্ড পরিচালনা,সভাপতি নির্বাচন,নির্বাসন করতে পারবে। মাদ্রাসা পষর্দের অ্যাক্টের ৪,৫,৯,১০ নম্বর ধারাগুলিকে চ্যালেজ্ঞ করা হয়েছে।কারন এই ধারাগুলি নাকি অসাংবিধানিক। কি আছে ধারাগুলিতে?
৪-পষর্দ পরিচলনায় সদস্যবৃন্দের গঠনতন্ত্র। ৫-সদস্যবৃন্দের নির্বাচন পদ্ধতি। ৯-বোর্ড সভাপতি নির্বাচন,বেতন, ইত্যাদি ১০-অস্হায়ী বোর্ড সভাপতি নির্বাচন।
গত ১/৯/১৭ সুপ্রিমকোর্টে বিচারপতি এ.কে. টিকরি ও অশোক ভূষনের ডিভিশন বেঞ্চ (Wp-742 of 2017 )রাজ্য সরকারকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে মধ্যে কারন দর্শানোর নোটিস ইস্যু করেছে।পরবতী মামলার শুনানি দিন ধার্য আছে আগামি ২৩ অক্টোবর।
প্রসঙ্গত কতগুলি প্রশ্ন উঠছে-
১)ঐ দিনে রাজ্য সরকারে হয়ে কেউ সওয়াল করল না কেন?
২)মাদ্রাসা অ্যা্কট তৈরি হল ১৯৯৪সালে, ২০০৩সালে কাঁথি মাদ্রাসা অনুমোদন পেল এবং ২০০৭ সালে মাদ্রাসা গুলিকে সংখ্যালুঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসাবে মাদ্রাসাগুলি অন্তভুক্ত করে। তাহলে ১০ বছর কেন মামলা?এর পিছনে উদ্দে্যস কি?
৩)বোর্ড সভাপতিকে অবলুপ্ত করার ক্ষমতা মাদ্রাসার কমিটির আছে কি?
৪)পর্ষদের সভাপতির ক্ষমতা স্হগিতাদেশ যারা চাইছে তাদের আইনের অধিকার আছে কি?
এর পিছেন কি অন্য খেলা লুকিয়ে আছে? কোটি টাকার প্রশ্ন এটাই।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584