শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
বেশির ভাগ হাসপাতালে কোভিড বেড না থাকায় প্যাকেজ অর্থের বিনিময়ে হোম কেয়ারের সুবিধা দিচ্ছে অনেক বেসরকারি হাসপাতালই। সেরকমই উডল্যান্ড হাসপাতালের কোভিড হোম কেয়ারের তত্ত্বাবধানে ছিলেন কেষ্টপুরের ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা শিখা মাধবচন্দ্র ঘটক।
কিন্তু প্রচণ্ড শরীর খারাপে দরকারের সময়ে বারবার ফোন করেও কিছুতেই হাসপাতালের সাহায্য পেলেন না তিনি। ১২ ঘন্টা পর শেষে এলাকার কাউন্সিলর খবর পেয়ে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠিয়ে ওই বৃদ্ধাকে ভর্তি করেন বেসরকারি নার্সিংহোমে। এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে শহরের বেসরকারি হাসপাতালের হোম কেয়ার পরিষেবা।
জানা গিয়েছে, বৃদ্ধার একমাত্র মেয়ে থাকেন কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে জাপানে। হাসপাতালের সাহায্য না পেয়ে বৃদ্ধা কোনওভাবে জাপানে মেয়েকে সমস্ত বিষয়টি জানান। মেয়ে ফোন করেন যাদবপুরের বাসিন্দা সম্পর্কে আত্মীয় সহেলি ভট্টাচার্যকে। সহেলিদেবীর দাবি, তিনিও উডল্যান্ড হাসপাতালের কোভিড হোম কেয়ারের হেল্প লাইন নম্বরে একাধিক বার ফোন করেন।
আরও পড়ুনঃ করোনার প্রকোপে এবার সঙ্কটজনক সমরেশ
কিন্তু ফোন বেজে গেলেও সাহায্য মেলেনি। এরপর বাগুইআটি থানায় যোগাযোগ করেন তিনি। তাঁরা বলেন স্বাস্থ্যদপ্তরে যোগাযোগ করতে। এরপর সম্পূর্ণ ঘটনা সোশ্যাল সাইটে লিখে পোস্ট করেন সহেলি। বাড়িতে একা এক প্রৌঢ়া শ্বাসকষ্টে ছটফট করছেন শুনে অনেকেই সাড়া দেন। সোশ্যাল সাইটেই তা দেখতে পান বিরাটির এক বাসিন্দা। খবর দেন কেষ্টপুরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আশা নন্দীকে।
আরও পড়ুনঃ কলকাতা থেকে নিজের গাড়িতে মেদিনীপুরে রোগীর বাড়িতে পৌঁছে দিলেন চিকিৎসক
এরপর নিজেই দায়িত্ব নিয়ে প্রৌঢ়ার বাড়িতে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠান কাউন্সিলর। কেষ্টপুরেরই একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়েছে প্রৌঢ়াকে। আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। জাপান থেকে প্রৌঢ়ার মেয়ের প্রশ্ন, “এমন হেল্পলাইন রাখার মানে কী? যেখানে ফোন করলেও কেউ আসছেন না।” যদিও নিজেদের এই গাফিলতি নিয়ে উডল্যান্ড হাসপাতালের তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584