উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ
বিধানসভা ভোটে বামেদের সঙ্গে জোট করার জন্য প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের স্পষ্ট বার্তা দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। শুক্রবার রাতে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে স্পষ্ট করে সেরকমই বার্তা দিলেন তিনি। বিধানসভা ভোটের আগে সংগঠনে নজর দেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি। এ দিন শুভেন্দু প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অধীর চৌধুরীর বার্তা,কংগ্রেসের দরজা রাতভর খোলা। ফিরে আসুন পুরোনো দলে।
অধীর চৌধুরীকে বাম-কংগ্রেসের জোটের মুখ করা হোক। অর্ধেক আসন ছেড়ে দিক সিপিএম। প্রদেশ কংগ্রেসের অভ্যন্তরে এমন ভাবনা ঘিরে বেজায় বিড়ম্বনায় পড়েছিলেন সিপি আই(এম) নেতারা। জোটের পথে তা অন্তরায় হতে পারে বলে মনে করে আলিমুদ্দিন। সূত্রের খবর, গোটা বিষয়টি জানানো হয় সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে।
আরও পড়ুনঃ মোদীর ভ্যাকসিন সফরে উচ্ছ্বসিত হর্ষবর্ধন বললেন ‘মেজর জেনারেল’
তিনিই রাহুল গান্ধীর কাছে অনুযোগ করেছেন বলে খবর। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে কয়েকটি আসন নিয়ে কংগ্রেসের অনড় মনোভাবের জেরে ভেস্তে যায় সমঝোতা। তাতে লাভের লাভ কিছু হয়নি! এদিন প্রসঙ্গ উল্লেখ করেননি, তবে ঠারেঠোরে রাহুল গান্ধী বুঝিয়ে দিয়েছেন এই বিষয়টি মোটেই ভালো চোখে দেখছে না দলের হাইকম্যান্ড।
২২ জন প্রদেশ নেতাকে নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে সনিয়া তনয়ের সাফ কথা,”বামেদের সঙ্গে জোটই ভবিষ্যৎ। নেতাদের সংযত ও সাবধানী মন্তব্য করতে হবে।” অধীর চৌধুরী সঙ্গে সঙ্গে জানান, “জোট হচ্ছেই। আমরা যৌথ কর্মসূচিও করছি। গতকালই বনধের কর্মসূচিতে বামেদের সঙ্গে ছিলাম।”
আরও পড়ুনঃ রাজ্যপালের সম্মতিতে ‘লাভ জিহাদ’ বিরোধী অধ্যাদেশ আইনে রূপান্তর উত্তরপ্রদেশে
রাহুল গান্ধী জানান, “প্রদেশ নেতাদের সঙ্গে মাঝে মধ্যে বসবো। মালদা-মুর্শিদাবাদের মতো জেলায় সংগঠন আরও পোক্ত করতে হবে।” এ দিনের বৈঠকের পর কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে রিপোর্ট দেবেন রাহুল। অন্যদিকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা ঘনঘন আসছেন রাজ্যে।
অক্টোবরে এসেছিলেন জেপি নাড্ডা। নভেম্বরে অমিত শাহ। আবার ডিসেম্বরে আসার কথা নাড্ডার। রাহুল ও প্রিয়াঙ্কাকে প্রচারে নামাতে চাইছে কংগ্রেসও। জানুয়ারির শেষে অথবা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে রাজ্যে আসতে পারেন রাহুল গান্ধী।
আরও পড়ুনঃ বিশেষ মর্যাদা হারানো পর কাশ্মীরে প্রথম ভোট গ্রহণ আজ
শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগ প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরীর খোঁচা, “যে খেলায় কংগ্রেসকে দুর্বল করেছিলেন, সেই খেলায় ওর সঙ্গে হচ্ছে। তৃণমূলের শেষযাত্রা শুরু হয়ে গেল। বাংলায় তৃণমূল আর থাকবে না।” এর পাশাপাশি পুরোনো দলে ফিরে আশার বার্তাও দেন অধীর।
তার কথায়,”ফিরে আসুন। বাংলায় যদি সত্যি বিজেপিকে ঠেকাতে হয় কংগ্রেসে যোগ দিন। দল ভাঙানোর খেলা খেলে মমতা বিরোধীদের নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিলেন। তৃণমূল দল তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে। যারা তৃণমূল এখনও করেন তাদের বলব, আসুন ফিরে আসুন কংগ্রেসে। কংগ্রেসের দরজা সকাল থেকে সন্ধ্যা নয়, রাতভর আপনাদের জন্য খোলা।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584