তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা আসছেন, তাই আমাকে সরতে হবে- ক্ষোভ প্রকাশ রাহুলের

0
153

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ

কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে পদ পেলেন মুকুল রায়, রাজ্য বিজেপিতে পদ হারিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিলেন রাহুল সিনহা।

২০২১-এ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুকুল রায় ও অনুপম হাজরাকে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে পদ দেওয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

Rahul Sinha | newsfront.co
রাহুল সিনহা

বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে পদাধিকারীদের তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে জায়গা পেলেন মুকুল রায় এবং দলের আরও তিন নেতা। দলের জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন মুকুল। তাঁকে এবার বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হল।

যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে লড়াই করেছিলেন অনুপম হাজরা। এর আগে তিনি ছিলেন তৃণমূলের সদস্য। তাঁকে অন্যতম জাতীয় সম্পাদক করা হল। রাজ্যে দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা রাহুল সিনহার জায়গায় অনুপমকে কেন্দ্রীয় সম্পাদক করা হল। দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তাকে দলের জাতীয় মুখপাত্র করা হয়েছে।

২০২১-এ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুকুল রায় ও অনুপম হাজরাকে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে সামিল করা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। তাঁরা দুজনেই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেছিলেন। পদ হারিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাহুল সিনহা।

আরও পড়ুনঃ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পদে মুকুল রায়, সম্পাদক অনুপম

ভিডিও বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘৪০ বছর বিজেপির সেবা ও দলের একনিষ্ঠ সৈনিক হিসেবে কাজ করে এসেছি। জন্মলগ্ন থেকে বিজেপির সেবা করবার পুরস্কার এটাই যে- তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা আসছেন, তাই আমাকে সরতে হবে। এর চেয়ে বড় দুর্ভাগ্যের কিছু আর হতে পারে না। পার্টি যে পুরস্কার দিল সেই পুরস্কারের পক্ষে বিপক্ষে কিছু বলতে চাই না।’

আরও পড়ুনঃ করোনা আক্রান্ত অগ্নিমিত্রা

একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি যা বলার দশ-বারো দিনের মধ্যে বলব এবং আমার ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ঠিক করব।’ রাহুলের এই মন্তব্য তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করেছে।

রাহুল সিনহা সম্পর্কে অনুপম বলেছেন, ‘ওঁর হয়তো অভিমান হয়েছে। তবে দলের সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু বলেননি। আমি বাড়িতে গিয়ে কথা বলব।’

অন্যদিকে, মুকুল বলেছেন, ‘দলের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল সিনহার কাছে কৃতজ্ঞ। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করব। নির্বাচনে দল অবশ্যই ভাল ফল করবে।’

আরও পড়ুনঃ রাজ্যপালের ক্ষমতা ব্রিটেনের রাজার সমান, মুখ্যমন্ত্রীর বিস্ফোরক ৯ পাতার প্রতিবাদ পত্র রাজভবনে

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির সাফল্যের পরও গুরুত্বপূর্ণ পদ পাননি মুকুল রায়। তাঁর অসন্তোষ প্রশমিত করতেই কি গুরুত্ব বাড়ানো হল মুকুলের? তিনি বলেছেন, ‘ভারতবর্ষের সবচেয়ে বড় দলে আমার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের সামনে এখন অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। তার জন্য ধন্যবাদ।’

মুকুলকে অভিনন্দন জানিয়ে বাবুল সুপ্রিয় টুইট করেছেন, ‘মুকুল রায়ের অভিজ্ঞতা ও রাজনৈতিক দক্ষতা একসময় তৃণমূল দল গঠনে সাহায্য করেছিল। এখন তা বাংলা থেকে তৃণমূলকে উত্‍খাত করতে কাজে লাগবে। ’

নতুন টিমকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করেছেন নরেন্দ্র মোদিও। তিনি লিখেছেন, ‘দেশের মানুষকে সেবা করার বিজেপির যে ঐতিহ্য, আশা করি তা আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন তাঁরা।’ বিজেপির সাংগঠনিক বদলের পর মন্ত্রিসভার বদলও কি আসন্ন? ক্রমেই বাড়ছে এই জল্পনা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here