আশিক চক্রবর্তী
কখনও কখনও মনের গভীর অন্তপুরে যে রেলগাড়ি চলে তার আওয়াজ শুনে মনে হয়, বেশ তো বেঁচে আছি।রেলগাড়ির চাকা ঘড়ঘড় করে ঠিক চলে অন্তপুরের দিকে।যাত্রা শুরু হয়েছে অনেক আগে,কে যে কবে সেই ট্রেনে বসেছিল তা আজও অজানা। কখন কোথায় রেলগাড়ি তার যাত্রী বদলায়,তা কেউ জানেনা। সিনেমার গল্পের মত দূর্বার – শিশির কে মারিয়ে, অপু চলছে অনন্তপুর স্টেশনে,রেলগাড়ি দেখতে। দুগ্গা জোনাকি কিনছে – স্বপ্ন দেখাবে বলে। আমি আর আপনি প্লাটফর্মে বসে শুধু দেখছি। পলাশ ফুটছে, শিমুল ঝরে পড়ছে। লাল রঙের সূয্যিটা দপদপ করে জ্বলছে।আমরা শুধু দেখছি।
না না পাঁচালী নয়, জীবন-বৃষ্টি বা ভেজা শরীর গাছের -তলা।গাছের বৃষ্টি – আদরের গল্প। মানুষের সাথে গাছের ভালোবাসা ভাগ করে নেওয়ার গল্প।না না বিশ্বাস করুন আবির ছাড়া কিছুই আনিনি আমি।রঙ বদলের আবদারে রঙের বড় প্রয়োজন।কখনও কোথাও গাছের রঙে জীবন বা রক্তের রঙে গান বা পলাশের রঙে হারিয়ে যাওয়ার শব্দ।এভাবেই তো অপু দুগ্গারা বেঁচে থাকে।
ছোট বেলায় বন্ধুর বাড়িতে যাওয়া, হঠাৎ করে তার গালে রঙ, কাকিমার হাতের পালো বা মালপোয়া।একটু বড়তে প্রেমিকাকে রঙ বলে সিন্দুর, মানে আর তুমি কাটতে পারবে না,দুগ্গা দুগ্গা।আরও একটু বড় তে সিদ্ধি আরও একটু বড় তে শুধু আড্ডা আর চা,অল্প রঙ,স্ট্যাটাসের। তারপর সব রঙ সাদা।না,বিশ্বাস করুন,সাদা মনে শেষ নয়। সাদা মনে আবার ভয়ে ভয়ে এগিয়ে যাওয়া। আবার না পাওয়া দূর্বা – শিশিরের প্রেম। কোথাও আবার গাছের – বৃষ্টি, কোথাও শরীরে- শরীরের দাগ খোঁজার স্মৃতি।প্রেম পালিয়ে যায়,অনেক দূরে বাদুড় রঙের দেশে।লাল দাঁতের হাসি।কখনও চোখ জ্বলে, এখন রঙের না পাওয়াতে।প্রজাপতির পাখনায়, আদরের বাদুড় রঙ থাকে।ভালোবেসে কপালের চুমু বুকে লাগে,আর হেলমেটের ভেতরের বোলতার কামড় — আহা, সেই আবদার-বড় কঠিন।ভালবাসার রঙ, অপু আর দুগ্গার পায়ের শিশির জানে।একবার খালি পায়ে হাঁটবেন নাকি ?
আরও পড়ুনঃ ‘ভবিষ্যতের ভূত প্রদর্শনের ব্যবস্থা করুন’, রাজ্য সরকারকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584