রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা, সিদ্ধান্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

0
70

উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ

বিজেপিতে যোগ দেওয়ার মাত্র দু’দিনের মধ্যেই জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পাচ্ছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার রাতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দফতর থেকে তাঁকে ফোন করা বলা হয় তাঁকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হল। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘সোমবার থেকেই তাঁর জন্য এই নিরাপত্তা বরাদ্দ হয়েছে।’ এদিকে, গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর পর কাল (মঙ্গলবার) বারুইপুরে প্রথম জনসভা রয়েছে রাজীবের। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যও একই ব্যবস্থা।

rajib banerjee | newsfront.co
ফাইল চিত্র

সেই জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা নিয়েই তিনি সভা করবেন বারুইপুরে। ৩০শে জানুয়ারি রাতে অমিত শাহর বাসভবনে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজীব-বৈশালীরা। এরপর গতকাল ডুমুরজলার মাঠে বিজেপির মেগা শো অনুষ্ঠিত হয়।

শুভেন্দুকে পাশে নিয়ে রাজীব ডাক দিয়েছেন, পরিবর্তনের পরিবর্তন চাই। ডুমুরজলার সভার চব্বিশ ঘণ্টা যেতে না যেতেই এবার রাজীবকেও দেওয়া হল জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা। যার দায়িত্বে থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর বাইশ জন জওয়ান। এর মধ্যে চার থেকে পাঁচ জন এনএসজির কমান্ডো। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া অন্যান্য রাজ্যে তিনি পাবেন ওয়াই প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ১১ জন জওয়ান। তাঁদের মধ্যে একজন বা দু’জন থাকবেন কমান্ডো।

প্রায় মাসদুয়েক ধরেই চলছিল টানাপোড়েন। প্রথমবার টালিগঞ্জে এক অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে মুখ খুলেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও নাম না করে তৃণমূলের শীর্ষস্তরের নেতাদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন তিনি। নাম লিখিয়েছিলেন ঘাসফুল শিবিরের ‘বেসুরো’ নেতাদের তালিকায়। তারপর থেকে কখনও ব্রাহ্মণদের অনুষ্ঠান আবার কখনও সংবাদমাধ্যমের সামনে বারবার মুখ খুলেছেন রাজীব। বলেছেন দলবিরোধী কথা। বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বারবার তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন।

বৈঠক শেষে দলবদলের জল্পনা জিইয়ে রেখেছেন। তবে দলবদল করার ব্যাপারে সরাসরি কিছু বলেননি। ফেসবুক লাইভও করেছেন। তাতেও দলবদলের কথায় আমল দেননি। এই টানাপোড়েনের মাঝেই আচমকা একদিন মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করেন রাজীব। দেখা করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে। রাজভবন থেকে বেরিয়ে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন আরও একবার। কেঁদেও ফেলেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারীর পথ অনুসরণ করে বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দেন।

আরও পড়ুনঃ জ্বালানিতে কৃষি সেস, পেট্রোল ডিজেলের দাম বৃদ্ধির দাবি ওড়াল কেন্দ্র

বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জমা দেন ইস্তফাপত্র। বিধানসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সঙ্গে নিয়ে বেরতে দেখা যায় তাঁকে। তখন ঘাসফুল শিবিরের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা আঁচ করেছিলেন অনেকেই। তবে প্রাক্তন বনমন্ত্রী তথা বিধায়কের মুখ থেকে সে বিষয়ে একটি শব্দও শোনা যায়নি। তবে কয়েকঘণ্টার মধ্যেই প্রেক্ষাপট বদল।

আরও পড়ুনঃ বিজেপির লক্ষ্য ২১! নির্মলার বাজেট বাংলামুখী

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যপদও ছেড়ে দেন। চিঠিতে সিদ্ধান্তের কথা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এরপরই দলবদলের পথ আরও প্রশস্ত হয়। দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহের উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান রাজীব। রবিবার ডুমুরজলায় বিজেপির কর্মসূচিতে যোগ দেন। তৃণমূলকে একাধিক ইস্যুতে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। মঙ্গলবার বারুইপুরে জনসভা রয়েছে তাঁর। ঘাসফুল শিবিরের উদ্দেশ্যে তিনি কী বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে এখন রাজনৈতিক মহল।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here