ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই, রেড রোডে বেপরোয়া গতির জেরেই বাস দুর্ঘটনা

0
53

মোহনা বিশ্বাস,ওয়েব ডেস্কঃ

সম্প্রতি ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনার শিকার হয় শহর কলকাতা। ১ জুলাই, বৃহস্পতিবার রেড রোডে পাঁচিল ভেঙে ফুটপাথে নেমে যায় বাস। মৃত্যু হয় এক বাইক আরোহীর। কিন্তু ঠিক কী কারণে ঘটল এই দুর্ঘটনা? তদন্তে নেমে পলাতক বাস চালককে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। রেড রোডে ওই দুর্ঘটনার পরই বাসচালক বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিল।

Speed Check
সৌজন্যেঃ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

পুলিশ বাসের মালিককে ডেকে বাসচালকের পরিচয় জানতে চাইলে বাস মালিক জানান, যিনি এই বাসের স্থায়ী চালক, তিনি আংশিক লকডাউনের কারণে সেদিন আসতে পারেননি। তাই গার্ডেনরিচ এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ ইবরারের হাতে ওইদিন বাসের চাবি তুলে দিয়েছিলেন তিনি।

মালিকের কাছ থেকেই সেই চালকের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর জোগাড় করে পুলিশ। তারপর তাঁকে ফোন করলে দেখা যায়, মোবাইল সুইচড অফ। এরপর তাঁর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। কিন্তু সেখানেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, ইবরার দিদির বাড়ি কামারহাটিতে। এরপর পুলিশ সেখানে গিয়ে দেখে কামারহাটিতে দিদির বাড়িতেই লুকিয়ে ছিল অভিযুক্ত বাসচালক। দিদির বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

কীভাবে ঘটেছিল ওই দুর্ঘটনা, তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠে এসেছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছিল, বাসে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ার কারণেই হয়ত এই দুর্ঘটনা। তবে গাড়ির মেকানিক্যাল ও ফরেন্সিক পরীক্ষা করানো হয়। সেই মেকানিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্টে প্রাথমিকভাবে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়েনি। এমনকী স্টিয়ারিংয়েও কোনও সমস্যা নেই। ফরেন্সিক পরীক্ষাতেও প্রাথমিকভাবে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে।

মেকানিক্যাল পরীক্ষায় জানা গেছে, দুর্ঘটনার সময় বাসটির গতি ছিল ঘণ্টায় ৪০ কিমির অনেক বেশি। যা থেকেই স্পষ্ট বোঝা যায় যে, বেপরোয়া গতিতেই গাড়ি চালাচ্ছিল চালক। ওই বাসের যাত্রীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁরা অত জোরে বাস চালাতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু চালক যাত্রীদের সে কথা কানেই তোলেনি। গাড়ির গতি যে কমানো হয়নি, তা স্পষ্ট মেকানিক্যাল রিপোর্টে।

আরও পড়ুনঃ সাম্প্রদায়িক ঐক্য ছাড়া কখনই দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়: আরএসএস প্রধান

অন্যদিকে, রেড রোডে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসের চালকের আদৌ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল কিনা তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। গত বৃহস্পতিবার মেটিয়াবুরুজ-হাওড়া রুটের ওই মিনিবাসের চালকের আসনে থাকা সৈয়দ ইবরার হোসেন তদন্তকারীদের কোনও ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে পারেনি। বিনা লাইসেন্সে কীভাবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন সৈয়দ? চালকের কাছে এই প্রশ্নের যে উত্তর পাওয়া গেছে তা অসঙ্গতিপূর্ণ। আদৌ তার ড্রাইভিং লাইসেন্স রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা। রবিবার ওই বাসচালককে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ লক্ষ্য ২০২৪! মমতার জয়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে কংগ্রেস সহ বিরোধী জোট কি সত্যিই আসন্ন!

বেপরোয়া গতিতে বাস চলার কারণে এর আগেও এই বাসের বিরুদ্ধে ১২টি কেস হয়েছে। এছাড়াও সিগন্যাল ভাঙা সহ অন্যান্য কেস মিলিয়ে ৮৪টি অভিযোগ রয়েছে এই বাসের বিরুদ্ধে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here