আনিসুর রহমান, কোলকাতাঃ-
বেশ কয়েক মাস আগে ভূতুড়ে শিক্ষকের হদিশ দিয়েছিল নিউজফ্রন্ট।আজ সেই ভূতুড়ে শিক্ষকদের অবৈধভাবে বেতন দেওয়ার প্রচেষ্টা করার অভিযোগ তুলে বিকাশ ভবন অভিযানের ডাক দেয় মাদ্রাসা ফোরাম নামক এক অরাজনৈতিক সংগঠন। ৪২ ডিগ্ৰী তাপমাত্রা উপেক্ষা করে প্রায় সাড়ে তিন হাজার চাকরি প্রার্থীর ঢেউ আছড়ে পড়ে কলকাতার বিকাশ ভবন চত্বরে।
রাজ্যের মাদ্রাসা গুলিতে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে অবস্হানবিক্ষোভ শুরু করে তারা। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন ২০১৩ সালে ৩১৮৩ শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় ।আজ সেই শূন্য পদ গিয়ে ঠেকেছে প্রায় আট হাজারে। গত ১৭ই মে সুপ্রিমকোর্ট এক অন্তরবর্তীকালীন রায়ে রাজ্যের ইচ্ছুক মাদ্রাসা গুলিতে শিক্ষক নিয়োগের আদেশ দেন।সেই অর্ডারের দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিও এই এই আন্দোলনের অন্যতম উদ্দেশ্য বলে জানা যায় ফোরাম সূত্রে।
তাদের দাবী গুলো ছিল নিম্নরূপ-
১.মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন প্রদেয় ষষ্ঠ এসএলএসটি বিজ্ঞাপনের শূন্যপদ হ্রাস করা চলবে না।
২. ৪.৯.২০১৬ পর্যন্ত সমস্ত মাদ্রাসায় আপ টু ডেট ভ্যাকেন্সিতে কমিসনকে প্যানেল তৈরি করতে হবে।
২.ভুঁতুড়ে ও ডিএমই দ্বারা বাতিল শিক্ষকদের জালিয়াতির মাধ্যমে বেতন দেয়ার প্রচেষ্টা বন্ধ করতে হবে এবং অবৈধ নিয়োগের পূনার্ঙ্গ তদন্ত করতে হবে।
৪.সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করা ১৪৮টি মাদ্রাসার শূন্যপদের আবেদনকে মান্যতা দিতে হবে।
৫.সুপ্রিমকোর্টের রায় অনুযায়ী ২০১৪ সালের বিজ্ঞাপনের সমস্ত বিষয় যেমন আরবী,কর্মশিক্ষা, শারীর শিক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ ও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ন করতে হবে।
৬.আগামী জুলাই মাসের মধ্যে ডাই ইন হারনেস ক্যান্ডিডেটদের চাকুরি এবং টিচারদের ট্রান্সফারের জন্য কমিসনকে সুপ্রিমকোর্টে সক্রিয় ভাবে আবেদন করতে হবে।
এই বিক্ষোভ সমাবেশ মিছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন অফিসের সামনে থেকে শুরু করে ময়ূখ ভবনের সামনে উপস্থিত হয়।এখানেই পুলিশ প্রশাসন মিছিল আটকে দেয়-বিকাশ ভবনের দিকে আর এগোতে দেয়নি।সেখানেই বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়।পরে ডিএমই এবং মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনে স্মারকলিপি জমা দিতে গেলে, কোন এক অদৃশ্য কারণে কমিশন চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ স্মারকলিপি জমা নিতে অস্বীকার করেন।এর প্রতিবাদে নতুন করে ছড়ায় উত্তেজনা।
পথে বসে বিক্ষোভ চলতে থাকে। শেষপর্যন্ত প্রশাসনের হস্তক্ষেপে স্মারকলিপি মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান বিধাননগর নর্থ থানার অফিসার সৈকত বাবু ।
আজকের সমাবেশ শেষে ফোরামের অন্যতম রাজ্য নেতৃত্ব আসিকুল আলম আমাদের নিউজফ্রন্ট প্রতিনিধিকে জানান, “এই নিয়োগ সম্পূর্ণ হলেই আমরা এবার শিক্ষকদের ট্রান্সফার ও ডাই ইন হারনেস চাকুরী প্রার্থীদের নিয়োগ চেয়ে কোর্টে জোরালো আবেদন করবো এবং কমিশন যতদিন না বৈধ হচ্ছে ততদিন আমাদের কোর্ট ও কোর্টের বাইরের লড়াই চলবে “।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584