সাত মাস পর নিখোঁজ নাবালিকার কঙ্কাল উদ্ধার

সিমা পুরকাইত,দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ

সময়টা ছিল দূর্গা পূজার নবমীর রাত।ব্যস্ত ও আনন্দে মাতোয়ারা গোটা গ্রাম।আর সেই সময়টাকে নিজের উপযুক্ত সময় হিসাবে বেছে নেয় দুষ্কৃতী যুবক। পূজার মেলা মাঠ থেকে বুঝিয়ে নাবালিকাকে নিয়ে যায় ফাঁকা নির্জন জায়গায়।এরপর তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করার পর তাকে ধর্ষণ করে ওই যুবক।আর সব ঘটনার কথা পরিবারকে বলে দেওয়ার কথা জানালে ভয় পেয়ে ঐ নাবালিকাকে খুন করে কবর দিয়ে দেয় যুবক।

ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বাসন্তী থানার পূর্ব বয়ারসিং গ্রামে।ঘটনা সূত্রে জানা যায় , বাসন্তী বয়ারসিং গ্রামের বাসিন্দা গোবর্ধন মন্ডলের মেয়ে সুজাতা মন্ডল (১৩) নামে নাবালিকা কাকদ্বীপ হোষ্টেলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী।দূর্গা পূজা উপলক্ষ্যে ছুটিতে বাড়ি আসে ওই ছাত্রী।এরপর পূজার নবমীর রাত্রে ভাইকে সাথে নিয়ে মেলার মাঠে যায় সে।আর তার অজান্তেই মেলার মাঠে থাকা প্রতিবেশী এক যুবক সনাতন সর্দারের (বুলেট) লালসার শিকার হয় ওই নাবালিকা।এরপর ভাইকে সরিয়ে দিয়ে নাবালিকাকে ফাঁকা নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় ওই অভিযুক্ত যুবক।তারপর তাকে ধর্ষণের পর খুন করে প্রতিবেশী যুবক।এরপর নির্জন জায়গায় একটি খেঁজুর গাছের গোড়ায় কবর দেয় নাবালিকার দেহ।ঘরের মেয়ে কয়েক দিন নিখোঁজ থাকার পর,বাসন্তী থানায় নিজের মেয়ের নামে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার।তদন্তে নামে পুলিশ।গত সপ্তাহ আগে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে বাসন্তী থানার পুলিশ।আজ অভিযুক্ত যুবককে সাথে নিয়ে ঘটনার স্থান চিহ্নিত করে কবর থেকে নাবালিকার পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

আরও পড়ুনঃ জন্মদাত্রীর বিরুদ্ধে কন্যা সন্তান হত্যার অভিযোগ,কবর থেকে মৃতদেহ তুলে ময়নাতদন্ত

ক্যানিং এসডিপিও,বাসন্তী বিডিও ও বাসন্তী থানার ও সি সহ বিশাল পুলিশ বাহিনীর নেতৃত্বে দেহটি উদ্ধার করে।আর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্যে নিয়ে যায় বাসন্তী থানার পুলিশ।এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।