নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
দেশজুড়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ,। রাজ্যেও সংক্রমণ বাড়ছে হুহু করে। এই পরিস্থিতিতে দাবি উঠছিল শেষ তিন দফা ভোট একসঙ্গে সম্পন্ন করার। আগামীকাল সর্বদল বৈঠকও ডেকেছে নির্বাচন কমিশন, কিন্তু তিন দফা ভোট যে একদফায় করা সম্ভব নয় বৈঠকের আগেই তা জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে তিন দফার ভোট একসঙ্গে করতে গেলে যে পরিমান কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন তা দেওয়া সম্ভব নয়।
কমিশনের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে টুইটারে ক্ষোভ উগরে দেন মমতা। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের সোচ্চারে বিরোধিতা করে তিনি লিখেছেন যে বাকি তিন দফার ভোট একসঙ্গে সারলে অতিমারীর সংক্রমণ কিছুটা এড়ানো যেত।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্য নির্বাচন কমকশনার সুশীল চন্দ্র ভিডিও কনফারেন্সে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন, পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের সাথেও বৈঠক করেন। সেখানে বিবেক দুবে জানান একদফায় ভোট করতে গেলে প্রায় দেড় হাজার কোম্পানি আরো বাহিনী দরকার। এত দ্রুত সে ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। আর রাজ্য বাহিনী দিয়ে ভোট করলে ভোট লুঠের অভিযোগ উঠতে পারে।
আরও পড়ুনঃ ১৩জন ভোটকর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর, বাংলার ভোটে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত কমিশনের
তারপরেই সিদ্ধান্ত হয় এক দফায় ভোট কোন ভাবেই হবে না।সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় ষষ্ঠ, সপ্তম এবং অষ্টম দফার নির্বাচন একসঙ্গে করা সম্ভব নয়। কমিশনের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে বলেছেন, তিন দফার ভোট এক দফায় করতে গেলে যত সংখ্যক বাহিনীর প্রয়োজন, এত দ্রুত তার ব্যবস্থা করা যাবে না।
আরও পড়ুনঃ সিপিআইএম-কে ভোট দিলেই হাত কেটে নেওয়া হবে, হুমকি তৃণমূল প্রার্থীর
সূত্রের খবর, তিন দফার ভোট এক দফায় করতে গেলে আরও বাড়তি দেড় হাজার কোম্পানি বাহিনীর প্রয়োজন। যা এই মুহূর্তে ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। আর রাজ্য বাহিনীকে দিয়ে ভোট করলে ভোট লুঠ বা বুথ দখলের সম্ভাবনা থাকবে। কাজেই এক দফায় কোনোভাবেই ভোট করানো সম্ভব হবে না।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584