শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
রাজ্যে উর্ধ্বগামী করোনা সংক্রমণ রুখতে অনেক বেশি প্রয়োজনীয় মৃদু উপসর্গ বা উপসর্গহীনদের ক্ষেত্রে হোম আইসোলেশনে থাকা। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রেই বাড়িতে সেই পরিস্থিতি রাখা সম্ভব না হওয়ায় রাজ্যে চালু হয়েছে ‘সেফ হোম’। এই মুহূর্তে রাজ্যে ১০৬ টি সেফ হোমে ৬৯০৮ টি বেড রয়েছে। তবে সব কটি সেফ হোম নয়, মাত্র ৩৫০০ টাকা খরচে ১৪ দিনের জন্য সমস্ত পরিষেবা মিলছে উত্তর কলকাতার জেএন রায় হাসপাতালে।

প্রসঙ্গত, রাজ্যে বিপুল হারে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শয্যা সঙ্কটে ভুগছে কলকাতার বেশ কিছু হাসপাতাল। আশপাশের জেলা বা লকডাউনে আটকে পড়া ভিনরাজ্যের বাসিন্দারা হাসপাতালে ভর্তি থাকার ফলে অনেক রোগীকেই ভর্তি নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে উপসর্গহীন বা সামান্য উপসর্গযুক্ত রোগীরা যাতে হাসপাতালে শয্যা আটকে না রাখেন সে জন্য পুর এলাকায় তৈরি করা হচ্ছে ‘সেফ হোম’।
আরও পড়ুনঃ ক্ষমতায় ফিরলে আজীবন ফ্রি রেশন, ২১-র সভায় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
সম্প্রতি কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম ও যাদবপুরের কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামকে সেফ হোম হিসেবে ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সেফ হোমেও যাতে রোগীরা দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন, তার জন্য এই অভিনব ব্যবস্থা চালু করল উত্তর কলকাতার জেএনরায় হাসপাতাল। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে নয়, বরং নিজের বাড়িতে থেকেই সমস্ত পরামর্শ মেনে রোগী চললে বাড়িটাকেই ‘সেফ হোম’ করে ফেলতে পারবেন রোগী, এমনটাই দাবি হাসপাতালের। তবে পরিস্থিতি বাড়াবাড়ি হলে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হবে হাসপাতালে।
আরও পড়ুনঃ বিজেপিতে যোগ প্রাক্তন ফুটবলার মেহেতাবের
কি কি মিলছে এই সেফ হোম প্যাকেজে? হাসপাতাল সূত্রের খবর, ডাক্তার এবং একজন পুষ্টিবিশারদ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রতিদিন পরামর্শ দেবেন। এছাড়াও মিলবে প্রতিদিন দেখভাল করার জন্য একজন নার্স। বাড়িতেই পৌছে দেওয়া হবে ডিজিটাল থার্মোমিটার, গ্লাভস, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার। কোনও সময় রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মুহূর্তে তাকে ভর্তি করিয়ে দেবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বাড়ির পরিস্থিতি যেমনই হোক, এই ন্যূনতম প্যাকেজে রোগীরা উপকৃত হবেনই বলে দাবি হাসপাতালের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584