শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
রাজ্যে এখন ৩৮ জন করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা চলছে, সুস্থ হয়েছেন ১২ জন, মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। কিন্তু বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকরা বিভিন্ন পদ্ধতিতে করোনা রোগীদের চিকিৎসা চালাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের সব সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে অভিন্ন গাইডলাইন বা নির্দেশিকা বেঁধে দিল স্বাস্থ্য দফতর। শুক্রবার থেকে চালু হয়েছে এই নির্দেশিকা।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, করোনা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।
কোনও ব্যক্তি করোনা সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তি হলে তার কিভাবে চিকিৎসা এবং দেখাশোনা করতে হবে, সে বিষয়ে নির্দেশিকা দেওয়া রয়েছে। আরও জানানো হয়েছে, কারোর রিপোর্ট পজিটিভ এলে তার কিভাবে চিকিৎসা হবে। কারোর রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও বা কিরকম চিকিৎসা হবে তাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে একই রকম চিকিৎসা পদ্ধতি মেনে চলতে বলা হয়েছে।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বিভিন্ন রোগের উপসর্গের সঙ্গে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে রোগী ভর্তি হচ্ছেন। সেক্ষেত্রে অন্য রোগীকে যাতে করোনা রোগী বলে ভুল না হয়, তার জন্যও বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কোনও ব্যক্তির কিডনির সমস্যা, ডায়াবেটিস সমস্যা অথবা শ্বাসযন্ত্রজনিত সমস্যারও চিকিৎসা কিভাবে হবে তাও স্থির করে দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য দপ্তরে নির্দেশিকায় করোনা রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে আরও জানানো হয়েছে, রোগীদের ক্ষেত্রে কি নিয়ম নীতি পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে, ভেন্টিলেশনের মাত্রা কত থাকবে সমস্ত বিষয় উল্লেখ রয়েছে। কখন কোন সময়ে মনে হলেই স্বাস্থ্য দফতরকে জানাতে হবে, তাও নির্দিষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে।
আরও একটি বিষয় স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। ওই নির্দেশিকার সঙ্গে যুক্ত আরও একটি নির্দেশিকাতে হু’র গাইডলাইন উল্লেখ করে বলা হয়েছে, মৃতদেহ থেকে হাওয়ার মাধ্যমে কোনওভাবেই এই ভাইরাস ছড়ায় না। তাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের গাইডলাইন মেনে স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে পরিবারের হাতে মৃতদেহ তুলে দিতে কোনও সমস্যা নেই। আর মৃতদেহ যে তাপমাত্রায় পোড়ানো হয়, তাতে কোনও ভাইরাস জীবিত থাকতে পারে না।
সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রত্যেকটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, সুপার, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের এই বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার থেকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে এই অভিন্ন গাইডলাইন মেনে করোনা রোগীদের চিকিৎসা চালুও হয়ে গিয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘মহামারী পরিস্থিতিতে অভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতির গাইডলাইন না থাকলে একটা সময়ে পরিস্থিতির চাপে রাজ্যের পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই পরিস্থিতি যাতে না হয়, তার জন্য এখন থেকে এভাবেই পুরো বিষয়টি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখবে স্বাস্থ্য দফতর।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584