পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে তৃতীয়বারের জন্য বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী শতাব্দী রায় নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী দুধ কুমার মন্ডল কে হারিয়ে দিলেন।
বৃহস্পতিবার গণনা কেন্দ্রে টানটান উত্তেজনা ছিল চোখে পড়ার মতো।গোটা গণনা কেন্দ্রকে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঘিরে ফেলা হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি দুই পক্ষই সকাল থেকে দাবি করে আসছিল যে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে তারাই জিতবে।তবে গণনা শেষ হতেই শেষ হাসি হাসলো তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী শতাব্দী রায়।
২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের ফলের তুলনায় ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বেশ কয়েক হাজার ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। তবে দিনভর ছিল টানটান উত্তেজনা।
আরও পড়ুনঃ টি টোয়ন্টি ম্যাচের উত্তেজনা বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের লড়ায়ে
কখনো শতাব্দী রায় এগিয়ে গিয়ে পিছিয়ে পড়েছিল আবার কখনো বিজেপি প্রার্থী দুধ কুমার মন্ডল বেশ খানিকটা ব্যবধান বাড়িয়ে নিয়ে চওড়া হাসি হেসে উঠছিলেন।যদিও বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভার মধ্যে তিনটি বিধানসভা তথা সাঁইথিয়া,সিউড়ি,দুবরাজপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের ফল অত্যন্ত খারাপ হয়েছে।
রামপুরহাট, হাসন, মুরারই, নলহাটি, এই চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের করা টক্কর হয়।যেহেতু প্রতিটি কেন্দ্রের মতো বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে,মুরারই, হাসন, ও নলহাটি বিধানসভায় যেহেতু সংখ্যালঘু ভোট ব্যাংক ধারে ও ভারে বেশি তাই সেখান থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী অনেক বেশি পরিমাণে ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে পেরেছে বিজেপি প্রার্থীর তুলনায়।
বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জানান, ৭৩ টি বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের ৭ টি বিধানসভা এলাকায় কোথায় তৃণমূল কংগ্রেস পিছিয়ে আছে এবং কোথায় তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে আছে তা নিয়ে পর্যালোচনা হবে।
যে বিধানসভা এলাকাগুলোতে তৃণমূল কংগ্রেসের ফল খারাপ হয়েছে তার কারণ খতিয়ে দেখার জন্য প্রয়োজনে তদন্ত কমিটিও গঠন করা হতে পারে।তবে গতবারের তুলনায় এবারে শতাব্দি রায় এর ব্যবধান বাড়ায় তিনি খুশি।অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী দুধ কুমার মন্ডল শতাব্দি রায়কে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, মানুষ ভোট দিয়ে শতাব্দী রায় কে জিতিয়েছে ওনার দায়িত্ব মানুষের আশা পূরণ করা।
বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী শতাব্দী রায় বলেন,এই জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়, মানুষের জয়,একই কেন্দ্রে তিনবার হ্যাটট্রিক করে শতাব্দী রায় দাবি করেন, “প্রথম দুবার জেতার আনন্দ ছিল, কিন্তু তৃতীয় বাজিতে বুঝতে পারলাম হ্যাটট্রিকের মর্ম কি।”
তিনি বলেন আগামীকাল থেকেই এলাকার উন্নয়নে কাজ শুরু করে দেবেন,তবে বীরভূম জেলা তৃণমূল এর দলীয় কার্যালয় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল কে খোশমেজাজে পাওয়া গেল না।প্রার্থী জিতলেও জেতা তিনটি পৌর এলাকায় ফল যথেষ্ট খারাপ হয়েছে,সাঁইথিয়া,সিউড়ি, দুবরাজপুর,এই তিন পৌর এলাকায় বিজেপি নিজেদের ব্যবধান যথেষ্টভাবে বাড়িয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বারবার বলেন এত উন্নয়ন যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছে তখন একটি ও ভোটবিরোধীদের ভোটবাক্সে যাওয়ার কথা নয়,এটা তিনি বলেন না তিনি দাবিও করেন,তাই এই দাবি বিফলে যাওয়ার জন্য স্বভাবতই বিমর্ষ হয়ে পড়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584