নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনাঃ
কিছু দিন উচ্চবাচ্য তেমন ছিল না। গোরক্ষা নিয়ে আবার উৎপীড়নের খবর এল এবং এই বাংলাতেই। গোরক্ষার নামে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে কলকাতার অদূরে ব্যারাকপুর সদর বাজারে।
সোমবার রাতে সেখানে দুই ব্যক্তির কাছ থেকে তিনটি গরু ছিনিয়ে নিয়ে তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তবে পুলিশ দ্রুত হস্তক্ষেপ করায় ঘটনা বেশি দূর গড়ায়নি।
কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ নিগ্রহকারীদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা রুজু করে। ঘটনার ভিডিয়ো করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় নাম জড়িয়েছে ব্যারাকপুর আদালতের আইনজীবী, বিজেপি নেতা রবীন ভট্টাচার্যের। তিনি অবশ্য জানান, হেনস্থায় তিনি জড়িত নন। বরং তিনিই পরিস্থিতি সামলেছেন।
সোমবার রাত ৮টা নাগাদ সদরবাজার কুঁজরা মহল এলাকার দুই ব্যক্তি দু’টি গরু এবং একটি বাছুর নিয়ে আসছিলেন। সেই সময় তাঁদের আটকে, ঘিরে ধরে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।
ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, বারবার দুই ব্যক্তির কাছে কয়েক জন যুবক জানতে চাইছেন, তাঁরা কোথা থেকে এবং কেন গরুগুলি এনেছেন?
আরও পড়ুনঃ দেউলি ফ্রেন্ডস ক্লাবের উদ্যোগে রক্তদান শিবিরের আয়োজন
ওই দু’জন শুরু থেকেই জানান, তাঁরা কোরবানির জন্য গরুগুলি আনেননি। সেই সময় কয়েক জনকে ওই দুই ব্যক্তিকে চড়থাপ্পড় মারতে দেখা যায়। তার পরেই গরুগুলিকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (জোন ১) অজয় ঠাকুর ঘটনাস্থলে যান। যে-দু’জনকে হেনস্থা করা হচ্ছিল, তাঁদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। অজয় ঠাকুর জানান, কয়েক জনের নামে মামলা শুরু করা হয়েছে। কিন্তু কোরবানি তো নিষিদ্ধ নয়। আর ওই এলাকায় কোরবানি হচ্ছিলও না। তাহলে দু’জনকে হেনস্থা করা হল কেন? সরাসরি জবাব এড়িয়ে বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার কোষাধ্যক্ষ সুদীপ সরকারের দাবি, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আছে, গোহত্যা বেআইনি।’’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584