অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, স্পোর্টস ডেস্কঃ
এটিকে-মোহনবাগান ম্যাচে যেখানে শেষ করেছিল, ইস্টবেঙ্গল মুম্বই ম্যাচে সেখানেই শুরু করল। তারা ছন্দহীন মাঝমাঠ ও ডিফেন্স ফলস্বরূপ শক্তিশালী মুম্বই এফ সির বিরুদ্ধে তিন গোলের মালা পরে মাঠ ছাড়তে হল টিম ফাউলারকে।
কথায় আছে খোঁচা খাওয়া ইস্টবেঙ্গল ভয়ঙ্কর কিন্তু এদিন কোথায় কী! আগের ম্যাচে তবু প্রথমার্ধে ভাল খেলেছিলেন অ্যান্টনি পিলকিংটন, জ্যাকুয়েস ম্যাঘোমারা। কিন্তু আজ তাঁরা দাঁড়াতেই পারলেন না। প্রথম থেকে শেষপর্যন্ত দাপট দেখিয়ে জয় পেল মুম্বই।
গোল করার দক্ষতার অভাব তো আছেই, তার সঙ্গে লাল-হলুদ জার্সিধারীদের ফিটনেসের অভাবও প্রথম দু’টি ম্যাচেই প্রকট হয়ে উঠেছে। খেলার শুরুতেই ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক ড্যানি ফক্স চোট পেয়ে উঠে যাওয়ায় চাপে পড়ে যায় দল। ৭ মিনিটে মাঠ ছাড়েন ফক্স। তাঁর পরিবর্ত হিসেবে মহম্মদ রফিককে নামান লাল-হলুদ কোচ।
আরও পড়ুনঃ ভারসাম্য আর ফুটওয়ার্ক সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণঃ সচিন
কিন্তু এই পরিবর্তনে দলের কোনও লাভ হয়নি। উল্টে রক্ষণ আরও নড়বড়ে হয়ে যায়। মুম্বইয়ের একের পর এক আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েন স্কট নেভিল, নারায়ণ দাসরা। মুম্বইকে গোল পাওয়ার জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ২০ মিনিটেই প্রথম গোল করেন অ্যাডাম লে ফন্ড্রে। প্রথম গোল খেয়েই ম্যাচ থেকে হারিয়ে যেতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল।
আরও পড়ুনঃ নতুন আইসিসি চেয়ারম্যানের ইঙ্গিত, বন্ধ হতে পারে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ
দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতে পেনাল্টি পায় মুম্বই ৪৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করেন ফন্ড্রে। এরপর ৫৮ মিনিটে মুম্বইয়ের হয়ে তৃতীয় গোল করেন হেরনান সান্তানা। এদিন লাল হলুদের বাঙালি গোলরক্ষক দেবজিৎকে মোটেও সেভিজিৎ লাগলো না আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগছেন সেটা স্পষ্ট বোঝা গেল।
তিন গোলে পিছিয়ে পড়ার পর স্ট্রাইকার বলবন্ত সিংহকে তুলে জেজেকে নামান ফাউলার। বলবন্ত নিজের সেরা সময় পেরিয়ে গিয়েছেন। তিনি এখন আর দেশের সেরা লিগে দলের প্রধান স্ট্রাইকার হিসেবে খেলার যোগ্য নন। জেজেকে কেন প্রথম থেকে খেলানো হচ্ছে না। এই রোগগুলো তাড়াতাড়ি না শোধরাতে পারলে আইএসএলে ফল আরও খারাপ হবে সেটা বলাই যায়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584