অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, স্পোর্টস ডেস্কঃ
ভারতীয় ক্রিকেটে পদ্মের বিষ। ধর্ম মাফিয়াদের কব্জায় সচিন-সৌরভরদের ক্রিকেট। এমনকি সচিন-সৌরভরাও। আর তাতেই নাজেহাল ক্রিকেটমহল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তনয় ক্রিকেট না খেলেও, ক্রিকেটের ‘অ আ ক খ’ না জেনেও বোর্ডের সচিব। রসিকতা করে এক সাংবাদিক বলেছিলেন, জয় শাহ সচিনের থেকে বড় ব্যাটসম্যান, ওয়ার্নের থেকে বড় বোলার এবং জন্টি রোডসের থেকে বড় ফিল্ডার। ওদিকে অর্থ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাই বোর্ডের মাল-করির দায়িত্বে মানে কোষাধক্ষ। আর বাপ-ছেলের দুস্টুমীতে বোর্ড সভাপতিরতো তিনটে স্টেন্টই বসে গেলো বুকে। এবার ধর্মের ধ্বজা তুলে পিছনে লাগা হলো প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার ওয়াসিম জাফরের।
ধর্ম-মাফিয়া গেরুয়াবাহিনীর দখলে থাকা রাজ্য উত্তরাখণ্ডের কোচ হয়েছিলেন জাফর। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ বলে শুরু হয়ে গেলো অত্যাচার। দেওয়া হলো হাজারো বদনাম। জাফর নাকি মুসলিম ক্রিকেটারদের অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। ধর্মের ধ্বজাধারীদের এই চারধামের রাজ্যে নাকি ওসব চলবেনা। চরম অসম্মান করা হলো। জাফরের পক্ষে আওয়াজ তুললেন অনিল কুম্বলে থেকে মনোজ তিওয়ারিরা। কিন্তু জোর করে টুইট করানোর সময় কুম্বলেদের ব্যবহার করলেও এক্ষত্রে ধর্ম মাফিয়াদের কাছে গুরুত্বই পেলোনা কুম্বলের কথা। শেষ পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডের কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হলেন জাফর।
আরও পড়ুনঃ বিজেপিতে আসছেন দিন্দা
শুধু তাই নয় রীতিমতো বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন ইস্তফাপত্রে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল মুসলিম ক্রিকেটারদের অগ্রাধিকার দেওয়ার এবং ড্রেসিংরুমে সাম্প্রদায়িকতা আনার। কিন্তু পদত্যাগের যে চিঠি উত্তরাখণ্ড ক্রিকেট সংস্থাকে পাঠিয়েছেন ওয়াসিম জাফর, তাতে একের পর এক তথ্য উঠে এসেছে। জাফর জানিয়েছেন, দল নির্বাচন হোক বা পরামর্শ, কোনও ক্ষেত্রেই তাঁর মতামত চাওয়া হয়নি। পুরোটাই সামলেছেন শীর্ষস্থানীয় কর্তারা।
দল গঠনের সময় নির্বাচক কমিটি তাঁর সঙ্গে কোনও পরামর্শ করেনি। এমনকী নির্বাচন কমিটির প্রধান তাঁকে কোনও ফোন বা বার্তা দেননি বলে জানা গিয়েছে। জাফরের কথায়, “কে কীরকম খেলে তা জানার আগেই দল নির্বাচন করে ফেলা হল। যাইহোক, জাফরের ইস্তফাতেই শেষ হবেনা বিতর্ক। জনগণ সতর্ক না হলে খুব শীঘ্রই লাল, পিঙ্ক বলের পর গেরুয়া বলের ক্রিকেট হয়তো দেখতে পাবে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584