খালিদ মুজতবা, নিউজ ডেস্কঃ
মিটার রিডিং দেখতে এসেছি বলে বাড়িতে ঢুকতো চেনম্যান কামরুজ্জামান। বাড়িতে মহিলারা একা আছে বুঝে অপারেশন চালাতো সে। মোটর সাইকেলে এসে বিদ্যুত দফতরের কর্মী পরিচয় দিয়ে অনায়াসে বাড়িতে ঢুকে যেত। একলা থাকা মহিলা পিছু ঘুরলেই সঙ্গে থাকা চেন পেছন থেকে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করতো সে। এরপর তার ওপর বিকৃত যৌন লালসা মিটিয়ে হাতের কাছে টাকা গয়না যা কিছু পেত তা নিয়ে চম্পট দিত ।
কালনার সিঙ্গের কোনে নাবালিকার ঘরে ঢুকে তাঁকে খুন ধর্ষণের ঘটনায় আগেই কালনা আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে কামরুজ্জামান। সোমবার তার কী সাজা ঘোষনা হয় সে দিকেই এখন তাকিয়ে আক্রান্তদের আত্মীয় পরিজন জেলার বাসিন্দারা সকলেই।
আরও পড়ুনঃ জন্মদিনের পার্টির তিন দিন পর করোনায় মৃত আয়োজক, নিমন্ত্রিত
দীর্ঘদিন ধরেই চুরির ঘটনায় জড়িত ছিল সিরিয়াল কিলার কামরুজ্জামান। হুগলির বলাগড়ে চুরির অভিযোগে ধরা পড়ে গনধোলাই খেয়েছিল সে। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখান থেকে সে চম্পট দেয়। মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে চুরির অভিযোগে ধরা পড়ে জেল খেটেছিল সে। অন্য একটি ঘটনায় বহরমপুর সংশোধনাগারে ছিল তিন মাস।
গত বছর কালনা মহকুমা জুড়ে একই কায়দায় একের পর এক মহিলা খুনের ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়ে পুলিশ। আততায়ীর হদিশ পেতে বিশেষ টিম তৈরি হয়। আটঘাঁট বেঁধৈ শুরু হয় তল্লাশি। নাইলনের ব্যাগ ঝোলানো, মাথায় লাল হেমমেট পরা মোটর সাইকেলে বসে থাকা ব্যক্তির ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হয় সিভিক ভলান্টিয়ারদের মধ্যে। অবশেষে বুলবুলি তলা ফাঁড়ি এলাকায় সে ধরা পড়ে সে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584