শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা। অভিযোগ, রাজ্যে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী এবং সুরক্ষা সরঞ্জাম দুইয়েরই অভাব রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ১ জুলাই চিকিৎসক দিবসে, চিকিৎসকদের সম্মান জানাতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। চিকিৎসকদের আদর্শকে সামনে রেখে ছুটি ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও একে পক্ষান্তরে প্রতারণা বলে দাবি করছে সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম।
তাদের দাবি, চিকিৎসক দিবসকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করতে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের বাদ দিয়ে অনান্যদের ছুটি দেওয়াটা প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়! বাস্তবে ডাক্তার সহ লোকবলের ঘাটতির কারণেই চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি এই বঞ্চনা। করোনা যুদ্ধে ইতিমধ্যেই অসংখ্য চিকিৎসক-চিকিৎসাকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন,মারা গেছেন অনেকে।এর পেছনে রয়েছে চূড়ান্ত সরকারি উদাসীনতা।
আরও পড়ুনঃ প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য মাসিক সাড়ে ৬ হাজার টাকা করে আর্থিক প্যাকেজ
তাদের আরও দাবি, এখনও পযর্ন্ত আমাদের রাজ্য তথা দেশে ডাক্তার নার্স স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া হচ্ছে না পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা। রোগাক্রান্ত হলে এখনো তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট এবং উপযুক্ত পরিকাঠামোযুক্ত সরকারি হাসপাতালের ব্যবস্থা করা হয়নি। অত্যন্ত অপ্রতুল পরিকাঠামো এবং লোকবল সহ ঝুঁকি নিয়ে ডাক্তারদেরকে কাজ করে যেতে হচ্ছে। লোকবলের অভাবে দূরবর্তী জেলাগুলোর অনেক ডাক্তার স্বাস্থ্যকর্মীরা জরুরি প্রয়োজনীয় ছুটি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয় সরকারই এব্যাপারে উদাসীন।
আরও পড়ুনঃ কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত রাখল আইআরসিটিসি
তাই সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক ডা সজল বিশ্বাস বলেন, যথার্থ অর্থে সরকার যদি ডাক্তারদেরকে সম্মানিত করতে চায়, তাহলে এই সমস্ত বিষয়ে সরকার নজর দিক। যাতে তারা করোনার বিরুদ্ধে চলমান এই যুদ্ধকে আরো শক্তিশালী করতে পারে। সেটাই হবে ডাক্তারদের প্রতি প্রকৃত সম্মান জ্ঞাপন। না হলে পরবর্তী সময়ে করোনা পরিস্থিতি সামলানো চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়বে। আর তার দায় পড়বে রাজ্য সরকারের ওপরেই।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584