স্ক্রিনিং হচ্ছে না পরিযায়ী শ্রমিকদের, বাড়ছে করোনা প্রকোপ, মুখ্য সচিবকে চিঠি সার্ভিস ডক্টর ফোরামের

0
37

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

লকডাউন এর তৃতীয় দফায় দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর শুরু করেছে কেন্দ্র তথা বিভিন্ন রাজ্যের প্রশাসন। ব্যতিক্রম নয় পশ্চিমবঙ্গও।

service doctors forum write letter to government chief | newsfront.co
প্রতীকী চিত্র

কিন্তু এটাও দেখা যাচ্ছে শ্রমিকরা বাড়ি ফেরা শুরু করতেই আচমকা দেশ তথা রাজ্যের বেড়ে গিয়েছে সংক্রমণের হার। পরিযায়ী শ্রমিকদের ঠিকমত স্ক্রিনিং না করার ফলেই দেশ তথা রাজ্যে বাড়ছে সংক্রমণ, এমনই দাবি তুলে মুখ্য সচিবকে এবার চিঠি দিল সার্ভিস ডক্টর ফোরাম।

এই সংগঠনের তরফ থেকে দাবি করা হয়, পরিযায়ী শ্রমিকদের বিজ্ঞান ভিত্তিক করোনা পরীক্ষা ও প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন/ আইসোলেশনের ব্যবস্থা যথাযথ ভাবে না করার ফলে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ডা:সজল বিশ্বাস এক বিবৃতিতে বলেন, “পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর ক্ষেত্রে কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয় সরকারেরই চূড়ান্ত গাফিলতি রয়েছে। ফলে দেশ এবং রাজ্যে করোনা সংক্রমন বাড়ছে। লকডাউন শুরু করার পূর্বেই এদের ঘরে ফেরানোর পরিকল্পনা নেওয়া উচিত ছিল। তা না করার ফলে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্ভোগ আরও বেড়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ দক্ষিণ কলকাতায় চার দশক ধরে রমরমিয়ে চলছে করোনা!

তার ওপর কোন রাজ্য থেকে কোন জেলায় কত শ্রমিক ফিরছে সেই সংখ্যা নিয়েও নানান কারচুপি চলছে। জেলায় ফিরে আসার পরে তাদের প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন ও করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা বেশিরভাগ জেলায় ব্যবস্থা নেই। স্থানীয় ক্ষেত্রে যাতায়াতের সুবন্দোবস্ত না থাকার ফলে অনেক শ্রমিকই সমাজের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে।’

সজলবাবু বলেন, ‘বিষয়টি সঠিক ভাবে পরিচালনার জন্য আজ আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে মাননীয় মূখ্যসচিবকে বিষয়টি দেখার জন্য একটি চিঠি পাঠিয়েছি। সময় মত সঠিক পদক্ষেপ না নিলে করোনা আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। আমরা আশা করব, উনি পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here