নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ারঃ
যুবক খুনের ঘটনায় গ্রেফতার মা ও দাদাকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারক। একই সঙ্গে গ্রেফতার গাড়ির চালক রঞ্জিত রায়েরও সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যুবক খুনের ঘটনায় গ্রেফতার তিন জনকে রবিবার আলিপুরদুয়ারে বিশেষ আদালতে তোলা হয়।
বিচারক ধৃত তিন জনকেই সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিন কিন্তু মাদারিহাট থানার পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন গ্রেফতার অরুনের স্ত্রী অশ্বিনী। এদিন আদালতের সামনে অশ্বিনি ঘোষ বলেন, “ আমার শ্বাশুড়ি ২১ জুলাই মাদারিহাট থানায় পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। পুলিশের তরফ থেকে কোন সহযোগিতা করা হয়নি। পুলিশ আমার দেওয়রকে ডেকে শাসিয়ে দিলে ও ভয় পেত। এমন ঘটনা নাও ঘটতে পারত। আমার স্বামি খুন করেনি। শ্বাশুড়ি খুন করেছে। আমার স্বামী ওর মাকে বাঁচানোর জন্য দোষ নিজের কাঁধে নিচ্ছেন। আমার দেওয়রের অত্যাচারে আমিও শ্বশুরবাড়িতে থাকতে পারতাম না।”
শনিবার সন্ধ্যায় যুবক খুনের ঘটনায় যুবকের মা দাদা ও একজন গাড়ির চালককে গ্রেফতার করে ফালাকাটা থানার পুলিশ।
মাদারিহাট থানার পশ্চিম খয়েরবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ২৬ বছরের যুবক বরুন রায়কে মা ও দাদা মিলে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। খুনের পর মৃতদেহ ট্রাংকে ভরে ট্রেনে করে বাইরে লোপাটের চেষ্টা করলে ফালাকাটা স্টেশনে আর পি এফের নজরে পড়ে যায়। শুক্রবার রাত সাড়ে এগারটা নাগাদ দরজা লাগানোর কাঠের ডাসা দিয়ে বাড়িতেই পিটিয়ে খুন করা হয় ওই যুবককে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে মৃতদেহ লোপাটের চেষ্টা করে মা ও ছেলে । ফালাকাটা স্টেশনের সামনে একটি মারুতি ভ্যান গাড়িতে লোহার ট্রাংক গাড়িতে রাখা অবস্থায় নজরে পরে আরপিএফের।
আরও পড়ুনঃ মাকে বাঁচাতে ভাইকে খুনের অভিযোগে ধৃত পুলিশ কনস্টেবল
খবর দেওয়া হয় ফালাকাটা থানাতে। পুলিশ গিয়ে জানতে পারে ট্রাংকের ভেতরে মৃতদেহ রয়েছে। গ্রেফতার করা হয় মা ও দাদাকে। সেই সময় গাড়ির চালককেও গ্রেফতার করা হয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584