নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
লখনৌ- মুম্বাই গোএয়ারের উড়ানে মুম্বাই যাওয়ার পথে বিমানেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয় সাত বছরের নাবালিকা, সঙ্গে ছিলেন তার বাবা।
লখনৌ থেকে যাত্রা শুরুর পরে এই ঘটনা ঘটে, সকাল ৭ টা ২৫ মিনিটে বিমানটি জরুরি অবতরণ করে নাগপুর বিমানবন্দরে। গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। আয়ুশী পুনভাষী প্রজাপতি, উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা, গোএয়ার এর জি ৮৩০৭ উড়ানে মুম্বাই যাচ্ছিলেন।
আয়ুশীর মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। তাঁর ভিসেরা স্যাম্পল সংরক্ষণ করা হয়েছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে অতিরিক্ত উচ্চতার কারণে মৃত্যু হয়েছে তার। রক্তাল্পতা রোগে ভুগছিলেন আয়ুশী, তাঁর বাবা সেকথা আগে প্রকাশ করেননি। আগে জানা থাকলে তাকে বিমানে ওঠার অনুমতি দেওয়া হতো না।
আরও পড়ুনঃ দিল্লির বাইরে ট্রাক্টর মিছিল, মানতে নারাজ কৃষকরা
রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ৮-১০ গ্রাম এর নিচে থাকলে সেই ব্যক্তিকে বিমানে ওঠার অনুমতি দেওয়া হয় না, সেখানে আয়ুশীর রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ছিল ২.৫ গ্রাম। তাঁরা চিকিৎসার জন্যই মুম্বাই যাচ্ছিলেন, জানিয়েছে কিংসওয়ে হাসপাতালের মেডিক্যাল টিম। নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের পরে তাঁরাই আয়ুশীকে প্রথম চিকিৎসা করেন।
আরও পড়ুনঃ করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার পরই বিপত্তি, ৫৮০ জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, মৃত ২
তাঁরা জানিয়েছেন, আয়ুশী যখন বিমানে ওঠেন তার আগে থেকেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং তার শরীরে এক বিশেষ ধরণের জীবনদায়ী যন্ত্র বসানো ছিল। সম্ভবত তার বাবা বিষয়টির গভীরতা বুঝতে পারেননি বলেই বিমান কর্মীদের তা জানাননি। লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম-সহ একটি অ্যাম্বুলেন্সে করেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তা সত্বেও বাঁচানো যায়নি তাকে।
বিমানের অন্যান্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, নাবালিকা আগে থেকে অসুস্থ ছিল এবং তার বাবা সেকথা জানাননি। ইতিমধ্যে, আয়ুশী হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে তারা কাগজপত্র দেখতে চান তখনই জানা যায় তার অসুস্থতার কথা। হাসপাতালে তার কোভিড পরীক্ষাও করা হয় তবে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। দেহ তুলে দেওয়া হয় তার বাবার হাতে প্রায় সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ, তিনি দেহ নিয়ে লাখনৌর উদ্দেশ্যে রওনা হন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584