ওয়েবডেস্ক,নিউজফ্রন্টঃ
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের
বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের মত এক ভয়ঙ্কর অভিযোগ তুললেন একসময় সুপ্রিম কোর্টে অফিস সহযোগী হিসেবে কর্মরতা ৩৫ বছরের এক মহিলা।
২০১৪ এর মে মাস থেকে ২০১৮ এর ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে কর্মরতা ওই মহিলা প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে গত কাল শুক্রবার ১৯ সে এপ্রিল অভিযোগ আনেন ২০১৮ সালের ১০ এবং ১১ ই অক্টোবর প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নিজস্ব আবাসিকের অফিসে ওই মহিলার উপর যৌন নির্যাতন করেন।শুক্রবার একটি বদ্ধ খামের চিঠিতে ওই মহিলা বিস্তারিত বর্ণনার সাথে অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছেন।
পাশাপাশি মহিলা অভিযোগ তুলেছেন তাকে গত ২০১৮ এর ডিসেম্বর মাসে অপমানজনকভাবে জোরপূর্বক চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল । চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর থেকে নানা রকম ভাবে তাকে হেনস্থা ও হয়রানির চেষ্টা চলছে বলে তার অভিযোগ।তিনি অভিযোগ করেন চলতি বছরের মার্চ মাসে তার পরিবার এবং তার নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
আজ শনিবার তার সম্পূর্ণ অভিযোগের প্রত্যুত্তরে অবশ্য সুপ্রিম কোর্টের সেক্রেটারি জেনারেলের অফিসের পক্ষ থেকে একটি ইমেইলের মাধ্যমে জানানো হয়েছে সম্পূর্ণ অভিযোগ” মিথ্যা এবং অমার্জিত” এবং “স্পষ্টত অনিষ্ট জনক।”প্রত্যুত্তরে এও জানানো হয়েছে।মহিলাকে আইনসম্মতভাবে ও বিধি সম্মতভাবেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সূত্রে জানা যায়,হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে আদালতে প্রধান বিচারপতি বলেন,“২০ বছর ধরে বিচারপতি হিসেবে কাজ করার পর আমার ব্যাঙ্ক ব্যালান্স ৬.৮০ লক্ষ টাকা। কেউ আমায় টাকা নিয়ে ধরতে পারেন নি,লোককে কিছু একটা খুঁজতে হবে,তাই তাঁরা কিছু একটা খুঁজে পেয়েছেন।ভারতের প্রধান বিচারপতির ২০ বছরের সেবার এটাই স্বীকৃতি।”
তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, তিনি প্রধান বিচারপতির আদালতে তাঁর কাজ নির্ভয়ে করে যাবেন। তাঁর বক্তব্য, “আমি আজকে কোর্টে বসার এই নজিরবিহীন পদক্ষেপ এই জন্যেই নিয়েছি যে জল বড্ড বেশি দূর গড়িয়ে গেছে। বিচারব্যবস্থাকে বলির পাঁঠা করা যাবে না।”
আরও পড়ুনঃ রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ব্রিটেনের আদালতে মামলার হুঁশিয়ারি ললিতের
প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ বিষয়ে দায়িত্বশীল থাকার দায় সংবাদ মাধ্যমের উপর ছেড়ে দিয়ে আদালত বলে,বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা “অত্যন্ত বেশি রকম” বিপন্ন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584