নির্বাচনী প্রচারে এসে ফের বিক্ষোভের মুখে শতাব্দী রায়

0
305

পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
ফের প্রচারে বেরিয়ে বিক্ষোভের মুখে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী শতাব্দী রায়।বৃহস্পতিবার সাঁইথিয়া বিধানসভা এলাকার মাঠপলশা গ্রামের প্রচারে গেলে স্থানীয় মহিলারা গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে পানীয় জলের দাবিতে।দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে তারা দাবি তোলে।

Shatabdi  faces protests during the campaign
নিজস্ব চিত্র

‘আগে রাস্তার কাজ করে দিন তারপরে ভোট পাবেন’ প্রায় আধাঘণ্টা বিক্ষোভে আটকে পড়ার পর স্থানীয় পুলিশ এবং তৃণমূলের নেতারা বিক্ষোভকারী মহিলাদের শান্ত করে সেখান থেকে প্রার্থীকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।তবে ওই গ্রামে আর প্রচার করা হয়নি তার।সিউড়ি বিধানসভা এবং সাঁইথিয়া বিধানসভার বিভিন্ন এলাকায় প্রচারে গিয়ে একের পর এক বিক্ষোভের সম্মুখীন হতে হচ্ছে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের এই তৃণমূল প্রার্থীকে।মাত্র দুদিন আগে সিউড়ি পৌর এলাকার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারে গিয়ে জলের দাবিতে স্থানীয় মহিলাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন শতাব্দী রায়।এইভাবে একের পর এক বিক্ষোভে পড়ার জন্য শতাব্দী রায় ঘনিষ্ঠ মহলে এই নিয়ে তিনি বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেন। নেতাকর্মীদের কাছে জানতে চান কেন এলাকার বাসিন্দারা এইভাবে বিক্ষোভে সামিল হচ্ছে। তাহলে কি তার দেওয়া সাংসদ তহবিলের টাকা মানুষের জন্য খরচ হচ্ছে না,নাকি এর মধ্যে রয়েছে বিরোধীদের কোন চক্রান্ত।পরে তিনি মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “যেহেতু নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেছে তাই এখন রাস্তা জল করে দিচ্ছি দেবো বলে কোন প্রতিশ্রুতি দেওয়া যাবে না ভোট মিটে যাক নিশ্চয়ই আপনাদের দাবিগুলো মিটিয়ে দেওয়া হবে।”এরপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে শতাব্দী রায় বলেন, ” একজন সাংসদ পাঁচ বছরে ৫০ কোটি টাকা পায়,এলাকার সমস্ত উন্নয়ন কি সেই টাকায় হওয়া সম্ভব,তবুও আমি আমার ৫০ কোটি টাকা দিয়ে দেবো তাতে কোন আপত্তি নেই যদি আপনাদের তাতে উন্নয়ন করা সম্ভব হয় তো আপনারা করে নেবেন।”
তবে প্রচার পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল কে কোথাও প্রার্থী শতাব্দী রায়ের সঙ্গে প্রচারে দেখা যায়নি,বিষয়টি নিয়ে অবশ্য অনুব্রত মণ্ডল বলেন প্রার্থী প্রার্থীর মতো প্রচার সারবেন জেলা সভাপতি জেলা সভাপতির মত কাজ করবেন, বিষয়টি নিয়ে এত জল ঘোলার কোন কারণ নেই। বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন শতাব্দি রায়ের নাম ঘোষণা করেন তারপর তিনি এসেছিলেন তারাপিঠ মন্দিরে পুজো দিতে,পুজো দেওয়ার পর তিনি প্রতিক্রিয়াতে বলেছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কথা হয়েছে তিনি বলেছেন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে আমার জেতা নিয়ে কোনো সংশয় নেই শুধু মার্জিনকে দেখে নিতে হবে কত হয় কিন্তু প্রশ্ন এখানে অনুব্রত মণ্ডল বা শতাব্দি রায় মুখে যাই বলুক না কেন একের পর এক বিক্ষোভের সম্মুখীন হতে হচ্ছে দলের প্রার্থীকে অথচ জেলা সভাপতি মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন এটাতেই বিরোধীরা উৎসাহ পাচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে ভারতী,প্রতিবাদে পাল্টা অবস্থান বিক্ষোভ

বিজেপি জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, “গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভরে গেছে তাই এই চিত্র প্রকাশ পাচ্ছে জেলা সভাপতি প্রার্থী কে সাহায্য করছেন না বরং আমাদের কাছে যা খবর তৃণমূলের একটি অংশ চাইছে যাতে এবারে শতাব্দি রায় জিততে না পারে।”
সব নিয়ে বীরভূম রাজনীতি বেশ উত্তপ্ত তবে কি এতে বিরোধীরা সুযোগ পেয়ে যাবে! উত্তর মিলবে ভোটের ফলাফলের পরে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here