নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
লকডাউনের ভ্রূকুটিতে টেলিপাড়ায় শুরু হয়েছে শুট ফ্রম হোম। প্রতিদিন নাকি ৬ টা করে সিনের শট পাঠাতে হচ্ছে অভিনেতাদের। কেউ কারো বাড়িতে যেতে পারছেন না। যার সঙ্গে যার কথোপকথন, একে অপরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চলছে শুট। কীভাবে সবটা সামাল দিচ্ছেন অভিনেতারা? নাকি নাস্তানাবুদ হচ্ছেন প্রতিদিন তা জানতে চেয়ে নিউজফ্রন্ট যোগাযোগ করে জনাকয়েক অভিনেতার সঙ্গে। কী বললেন তাঁরা, এক ঝলকে পড়ে নিন।
‘কী করে বলব তোমায়’ ধারাবাহিকের পায়েল সেন থুড়ি মানসী সেনগুপ্ত জানান- “আমার বাড়িতে দুটো পোষ্য আছে। তারা তো খুব শান্ত, তাই সব টেক ওকে হয়ে গেল আর মাঝখানে তারা এসে চেঁচিয়ে উঠল। তখন আবার টেক নিতে হয় আমায়। তার উপরে আমার রাস্তার পাশে বাড়ি। জানলা দরজা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। আবার ফ্যান বা এসি চালাতে পারছি না। সাউন্ড ধরে নিচ্ছে। ফলে ঘেমে যাচ্ছি। তাও চালিয়ে যাচ্ছি চেষ্টা।”
‘যমুনা ঢাকি’ ধারাবাহিকের বেদ থুড়ি রাজা ঘোষ বলছেন- “ঘরে বসে এখনও অবধি একদিনই করেছি শুট। তাতেই যা অবস্থা আমার বলার নয়। নাকানিচোবানি খেয়েছি একেবারে। একেবারেই এনজয় করিনি। ফ্লোর আর সেই ফ্লোরের অ্যাম্বিয়েন্স সেটা তো আর পাওয়া যায় না ঘরে বসে। নিজে শুট করতে গেলে যেটা হয়, কারোকে না কারোকে ক্যামেরাটা ধরতে হয়। আমার ক্ষেত্রে বাবা-মা সেই কাজটা করেছেন। বলে দিতে হয়েছে বারে বারে। ওঁরা তো আর এগুলো পারেন না। তাছাড়া লাইট, সাউন্ডের সমস্যা তো আছেই। পারফেক্ট সাউন্ড, পারফেক্ট রি অ্যাকশন না থাকলে কাজটা ঠিক করে হয় না। কিছুই তো পাওয়া যায় না শুট ফ্রম হোমে। আমার ডায়লগ গুলোই বলে যাচ্ছিলাম নিজের মতো। আর ভেবে নিয়েছিলাম কেউ আছে আমার বিপরীতে। এভাবেই সামলে দিয়েছি। তবে, শুট ফ্রম হোম চাই না।”
‘কড়ি খেলা’ ধারাবাহিকের অপূর্ব থুড়ি আনন্দ ঘোষ নিউজফ্রন্টকে জানান- “নতুন ধরনের অভিজ্ঞতা হচ্ছে। নতুন চ্যালেঞ্জ। আমি বেশ এনজয় করছি। আমি চ্যালেঞ্জিং সিচ্যুয়েশন বরাবরই এনজয় করি। আর আমাদের টিম খুব হেল্পফুল। ঠিকমতো গাইড করে দেয়। অতিমারীর কারণে এই শুট ফ্রম হোম করতে হচ্ছে। কিছু তো করার নেই। দ্য শো মাস্ট গো অন। কমপ্লেন করার মতো আমার কাছে কিছু নেই। কারণ এখানে নতুন করে নিজেকে আর নিজের ক্রিয়েটিভ ব্রেনকে কাজে লাগিয়ে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। যেটা আমার ভালই লাগছে। নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে এরকম ধরনের ধারণা আমার মনে আসছে না কারণ আমাদের কড়িখেলার টিম আর আমি কীভাবে কাজটা ঠাণ্ডা মাথায় আর কোয়ালিটি বজায় রেখে করব সেই চিন্তাই করে চলেছি সবসময়।”
‘যমুনা ঢাকি’ ধারাবাহিকের আর্যা থুড়ি ইন্দ্রাক্ষী দে জানিয়েছেন- “লকডাউনটা এতটা হবে জানতাম না। ১০-১২ দিনের ব্যাঙ্কিং ছিল। তাই ৩০ মে লকডাউন উঠে গেলে বাড়িতে বসে শুটিং করতে হত না। তবে, বলতে পারো এনজয় করছি। সমস্যাও হচ্ছে কিছু। যেহেতু একা থাকি। নিজেই শাড়ি পরছি, মেক আপ করছি, স্ট্যান্ডে ক্যামেরা বসিয়ে নিচ্ছি। ফলে একা হাতে সব করতে গিয়ে চাপ তো হচ্ছেই। তবে, লকডাউনে সময় ভালই কেটে যাচ্ছে। ঘরে বসে সারাদিন কী আর করব? কত আর মুভি দেখব? তবু কাজের মধ্যে আছি, ভাবছি যমুনা ঢাকিতে তো আছি। এই ভেবেই কাজ করছি আর কাজটা এনজয় করছি।”
আরও পড়ুনঃ “পরীক্ষা-টরীক্ষা বাতিল এ বার পুরভোটের দিনক্ষণ ঠিক হোক”- অনির্বাণ ভট্টাচার্য
আরও পড়ুনঃ ভাঙা ঘর জুড়তে চান রোশন
‘ওগো নিরুপমা’ ধারাবাহিকের মৈনাক এবং ‘রিমলি’র প্রতীক থুড়ি মৈনাক ঢোল জানান- “বাড়িতে বসে শুট করতে হবে যখন শুনলাম তখন বেশ নার্ভাস লাগছিল। ভাবছিলাম কে ধরবে ক্যামেরা। অবশেষ কাজিন ধরল ক্যামেরা৷ এখন আর অসুবিধা হচ্ছে না। তবে, অন্যদিকের মানুষের কিউটা পাচ্ছি না। সেটা একটা সমস্যা ঠিকই। তবে অ্যাডজাস্ট হয়ে গেছে এখন। সব কাটিয়ে তাড়াতাড়ি ফ্লোরে ফিরতে চাই। আর ডিরেক্টরের মুখ থেকে শুনতে চাই রোল, রোলিং, অ্যাকশন।”
ছবি সৌজন্যেঃ অভিনেতাদের ফেসবুক।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584